রংপুর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে শিক্ষিকার ধর্ষণ মামলা

রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন এক স্কুল শিক্ষিকা। শনিবার বিকালে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ধর্ষিতাকে থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেওয়া হয়েছে।

রবিবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুর রশিদ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ভুক্তভোগী রংপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ২০১৭ সালে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনির সঙ্গে মেয়েটির পরিচয়। এরপর তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর রনি ভুক্তভোগীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকা, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় কাজের কথা বলে রনি ১৮ লাখ টাকা নিয়েছে বলে শিক্ষিকা অভিযোগ করেন।

পরে বিয়ে করার কথা বললে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন রনি। পরে তার বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনদের চাপে ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিলে নীলফামারীতে বিয়ে করার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজল কুমারের বাসায় নিয়ে গিয়ে ভুয়া কাজী এনে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা দেখানো হয়। এরপর রাতে বাসরঘর বানিয়ে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ভুয়া বিয়ের কথা জানার পর ধর্ষিতা রনিকে আবারও বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে চলতি বছরের ৫ জুন তাকে কেরানিপাড়ার বাসায় নিয়ে রাত্রি যাপন করে এবং ধর্ষণ করে। কথা দেয় তাকে স্ত্রীর অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে বাসায় নিয়ে যাবে। কিন্তু এরপর বিভিন্ন টালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। এরপর গত ১২ জুলাই রংপুর নগরীর গনেশপুর ক্লাব মোড় এলাকার ফুফুর বাড়িতে মেয়েটিকে নিয়ে যায় রনি। সেখানে গিয়ে বলে তার সঙ্গে কোনও বিয়ে হয়নি, রেজিস্ট্রি হয়নি, কোনও কাবিননামাও নেই। এরপর তার সহযোগীদের দিয়ে তাকে সে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

ভুক্তভোগী জানায়, বিষয়টি লিখিত আকারে নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করলে তাকে থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়। এরপর থানায় হাজির হয়ে লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের কথা স্বীকার করে রংপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদের বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: