ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামের আনসার সদস্য রাশিদুল ইসলাম। যার দুটি কিডনিই নস্ট। বাঁচার একমাত্র উপায় কিডনি প্রতিস্থাপন। এমন অবস্থায় যখন চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসছিল ঠিক তখনই আশার আলো হয়ে পাশে দাঁড়ালেন স্ত্রী সেতু খাতুন। নিজের একটি কিডনি দিয়ে বাচিয়েছেন স্বামীর জীবন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সবার প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে হরিশপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রাশিদুলের সঙ্গে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাতিভাঙ্গা গ্রামের হবিবর রহমানের মেয়ে সেতু খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ভালোই চলছিল তাদের জীবন। তিন মাস আগে হঠাৎ করে রাশিদুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা জানান তার দুটো কিডনি বিকল হয়েছে।
ডাক্তাররা তাকে দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবার হওয়ায় নতুন করে কিডনি নেয়ার সামর্থ্য ছিল না তার। আর তাই মৃত্যুপথযাত্রী স্বামীকে বাঁচাতে তাই এগিয়ে আসেন স্ত্রী সেতু খাতুন।
জানা গেছে, গত ১২ নভেম্বর ঢাকার শ্যামলীতে একটি হাসপাতালে তাদের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী দুজনই সুস্থ আছেন। রাশিদুল ইসলাম আইসিইউতে আর স্ত্রী সেতু জেনারেল বেডে আছেন।
সেতুর মা নুরনাহার বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, আমার মেয়ে আমার জামাইয়ের জন্য যা করেছে তাতে আমরা খুশি। তিনি সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন।
টাইমস/এফএ/এসজে/এসএন