ডেন্টালে পড়াশোনা করছেন বৃষ্টি। পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করাতেন তিনি। তবে করোনা মহামােরিতে টিউশনি ছেড়ে কুমিল্লায় চলে যেতে হয়েছে তাকে। বাসায় বসে বসে সময় কাটছিল তার। মনে হল এভাবে সময় নষ্ট করার কোন মানেই হয় না।
নতুন কিছু করার চিন্তা থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকেন তিনি। দেড় বছর আগে তিনি হাতে তৈরি গহণা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন বৃষ্টি। কিন্তু পড়াশোনার চাপ ও সঠিক মার্কেটিংয়ের অভাবে সেটা আর চালিয়ে যেতে পারেননি। এবার করেনা মাহামারিতে লকডাউনের মাঝেই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন বৃষ্টি। ই-কমার্স কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হন বৃষ্টি দেব।
চলতি বছরের জুলাই মাসে মাত্র সাড়ে ৭ হাজার টাকায় তিনি ব্যবসা শুরু করেন। ৬ মাসের মাথায় তিনি লাখপতি হয়ে গেছেন। এই অল্পদিনে তিনি সোয়া ৩ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন। তার পণ্যের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ বিক্রি হচ্ছে খাদি ব্লেজার। অল্প কয়েকদিনে এই একটি পণ্যই তিনি প্রায় লাখ টাকা বিক্রি করেছেন।
বৃষ্টি দেব বলেন, কুমিল্লার মেয়ে তাই কাজ করছি কুমিল্লার বিখ্যাত খাদি ও বাটিক নিয়ে। আমি বেদত্রয়ী-Bedotrayee এর সত্ত্বাধিকারী। দেশীয় পণ্য দিয়ে স্বপ্ন জয় করতে চাই। বৃষ্টি জানালেন, আমার সিগনেচার প্রোডাক্ট খাদিতে বিভিন্ন ফিউশন। যেমন- নিজের ডিজাইনে করা খাদি কুর্তি ও কাপল সেট ক্রেতাদের নজর কেড়েছে। সবচেয়ে বেশি সেল প্রোডাক্ট খাদি ব্লেজার। আশা করছি ব্যতিক্রমী এই ব্লেজার দিয়ে আমি আমার টার্গেট পূরণ করতে পারব। তার উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে উইমেন এন্ড ইকমার্স ফোরাম (উই) বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে বলে উল্লেখ করেন বৃষ্টি।
বৃষ্টি বলেন, ই-কমার্স বিজনেসের মাধ্যমে পড়াশোনার খরচের পাশাপাশি আমি এখন ফ্যামিলিকেও সাপোর্ট দিচ্ছি। চাকরির পেছেন না ঘুরে উদ্যোক্তা হওয়াকেই তিনি বেশি প্রায়োরিটি দেন। স্বপ্ন দেখেন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার। এমন স্বপ্নের বাংলাদেশের অংশীদার হতে নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করছেন বৃষ্টি।
টাইমস/জেকে