অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পথে গত একবছরে সাগরে ডুবে দুই শতাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ হয়েছেন অনেকে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির এক বিশেষ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এতে বলা হয় ক্যাম্পে থাকা বেশিরভাগ রোহিঙ্গাদের নজর থাকে মালয়েশিয়া। বিশেষ করে নারী রোহিঙ্গাদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি। উন্নত জীবনের খোঁজে দালালের খপ্পরে পড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এই সিদ্ধান্তকে ‘বিপজ্জনক যাত্রা’ অ্যাখা দিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি।
উত্তাল সাগরের বুক চিড়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাওয়াটা রোহিঙ্গাদের কাছে যেন এক স্বপ্নের যাত্রা। বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে এই প্রবণতা চোখে পড়ার মতো।
বিবিসি বলছে, এসব রোহিঙ্গাদের মেরে সাগরে ভাসিয়ে দিতে পারে দালালরা কিংবা অনাহারেও তাদের মৃত্যু হতে পারে। অন্যথায় কোভিড পরিস্থিতিতে দেশগুলোর সীমান্তে কড়াকড়ি পাহাড়া বসানোয় চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই সাগরে মৃত্যু হয় তাদের। অনেক শরণার্থী রোহিঙ্গা আবার মালয়েশিয়া অথবা অন্য কোন দেশে সাগর পথে অবৈধভাবে যেতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে এই সুযোগ নিয়ে দালালরা অন্যদের সহজেই প্রলুব্ধ করতে সক্ষম হন।
বাংলাদেশের ক্যাম্প থেকে পালাতে গিয়ে দালালসহ বিভিন্ন সময় আটক হয়েছেন অনেক রোহিঙ্গা। ২০১৯ সালের মে মাসে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টায় কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ থেকে ৫৫ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। এদের মধ্যে ৩১ নারী, ১৪ পুরুষ ও ১০ শিশু ছিল।
টাইমস/এসজে/এসএন