ফুসফুস ক্যান্সারের পূর্ব লক্ষণ

বিশ্বব্যাপী মরণব্যাধি রোগসমূহের অন্যতম ফুসফুসের ক্যান্সার। গ্লোবোকন-২০১৮ এর তথ্য মতে বিশ্বব্যাপী ১৮৫টি দেশে ৩৬ ধরণের ক্যান্সার রোগী রয়েছে। এদের মধ্যে ভারতীয় উপমহাদেশে অতি সাধারণ ক্যান্সারসমূহের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফুসফুসের ক্যান্সার।

এছাড়া বাংলাদেশে মৃত্যুহারের জন্য দায়ী রোগসমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফুসফুসের ক্যান্সার।

যেহেতু ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণের সঙ্গে যক্ষ্মার উপসর্গের সাদৃশ্য রয়েছে, তাই অনেক সময় যথা সময়ে ফুসফুসের ক্যান্সার সনাক্তকরণ সম্ভব হয় না। এজন্য যারা ধূমপান করেন তাদের ফুসফুস ক্যান্সারের উপসর্গের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।

সেইসঙ্গে উপসর্গ দেখার পরপরই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ ফুসফুসের ক্যান্সার তখনই নিরাময় করা সম্ভব, যখন এটা প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করা যায়।

তাই ফুসফুস ক্যান্সার যাতে প্রাথমিক পর্যায়েই প্রতিরোধ করা যায়, সেজন্য এর উপসর্গ সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা রাখতে হবে। ফুসফুস ক্যান্সারের প্রধান উপসর্গগুলো হলো-

দীর্ঘস্থায়ী কাশি: একটানা দীর্ঘদিন কাশি থাকলে তা ফুসফুস ক্যান্সারের পূর্বলক্ষণ হিসেবে মনে করা হয়। এজন্য দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা: ফুসফুস ক্যান্সারের অন্যতম আরেকটি উপসর্গ হলো শ্বাস-প্রশ্বাসে জটিলতা। বিভিন্ন সময়ে পর্যাপ্ত শক্তি ও মনোবলের অভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হতে পারে। একটানা দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্ট হলে কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাস অস্বাভাবিক মনে হলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তার দেখানো উচিত।

বুকে ব্যথা: সাধারণত ফুসফুসের ক্যান্সার থেকে বুকে ব্যথা দেখা দেয়। তাই একটানা দীর্ঘদিন বুকে ব্যথা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

খাবারে অনীহা: সাধারণত ফুসফুসে ক্যান্সার হলে রোগীর খাবারে অরুচি ও অনীহা দেখা দেয়। তাই দীর্ঘদিন ধরে খাবারে অরুচি সমস্যা দেখা দিলে কোনোভাবেই এটাকে অবহেলা করা উচিত নয়।

অপ্রত্যাশিত ওজন হ্রাস: দৈনন্দিন খাদ্যাভাস কিংবা শরীরচর্চায় কোনো পরিবর্তন না থাকা সত্ত্বেও যদি দেহের ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়, তবে দ্রুত পরীক্ষা করা উচিত। কারণ এটা ফুসফুস ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ।

দুর্ভাগ্যক্রমে, সচেতনতার অভাবে আমাদের দেশে অধিকাংশ সময়ই চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যাওয়ার পর ফুসফুস ক্যান্সার সনাক্ত করা হয়। ফলে অধিকাংশ সময়ই এসব রোগীদের সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব হয় না। কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করা না গেলে ফুসফুস ক্যান্সার নিরাময় করা সম্ভব নয়।

সুতরাং কারো মধ্যে উপরের উপসর্গসমূহের কোনো একটি পাওয়া গেলে তাকে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

 

টাইমস/এএইচ/জিএস 

Share this news on: