লালন ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি সাধক। তিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামে পরিচিত।
তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। লালনকে বাউল গানের অগ্রদূতদের অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ‘বাউল-সম্রাট’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।
লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী সাধক। যিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সকল প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন। অসাম্প্রদায়িক এই মনোভাব থেকেই তিনি তার গান রচনা করেছেন।
তার গান ও দর্শন যুগে যুগে প্রভাবিত করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ও অ্যালেন গিন্সবার্গের মতো বহু খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, বুদ্ধিজীবীসহ অসংখ্য মানুষকে। গান্ধীরও ২৫ বছর আগে, ভারত উপমহাদেশে সর্বপ্রথম, তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল।
১৭৭৪ সালের ১৭ অক্টোবর অবিভক্ত বাংলায় লালন শাহ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তবে বাংলার ঠিক কোন অঞ্চলে তার জন্ম তা সঠিক ভাবে জানা যায় না। ১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে লালনের মৃত্যু হয়। তার জন্ম ও মৃত্যুর সন-তারিখ নিয়ে মতভেদ রয়েছে।
এই বিখ্যাত বাউল সাধকের একটি উক্তি-
“শুদ্ধ প্রেমের মানুষ যে জন হয়,
মুখে কথা কোক বা না কোক
নয়ন দেখলে চেনা যায়।”
টাইমস/এনজে