তানজানিয়াতে সাংসদদের খৎনার পরামর্শ

তানজানিয়াতে পুরুষ সাংসদদের খৎনার পরামর্শ দিয়েছেন তাদেরই একজন নারী সহকর্মী। সংসদ অধিবেশনে এক বিতর্কের সময় জ্যাকলিন এঙগনিয়ানি বলেছেন যেসব পুরুষ সংসদ সদস্যের খৎনা করানো নেই তাদের অবিলম্বে সেটি করিয়ে নেয়া উচিৎ। খবর বিবিসি।

অধিবেশনে জ্যাকলিন এঙগনিয়ানির এই পরামর্শে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন সংসদ সদস্যরা। কিছু সংসদ সদস্য এই পরামর্শকে ব্যক্তি স্বাধীনতা বিরোধী ও অমার্জিত পরামর্শ বলে অভিহিত করেন।

কেন এমন পরামর্শ?
আফ্রিকার অন্যান্য দেশেও একই ব্যাপারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আর এর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এইচআইভির জীবাণু সংক্রমণের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে- খৎনার মাধ্যমে এইচআইভি জীবাণু ছড়ানোর ঝুঁকি ৬০ ভাগ কমিয়ে আনা সম্ভব।

খৎনার সময় পুরুষদের যৌনাঙ্গের ত্বকের বাড়তি যে অংশটি ফেলে দেয়া হয়, সেখান থেকে এইচআইভি জীবাণু বেশি প্রবেশ করার সুযোগ পায় বলে গবেষকরা মনে করেন।

যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ানো অন্যান্য জীবাণুর ক্ষেত্রেও বিষয়টি কিছুটা একই রকম। তাই খৎনা এইচআইভি সংক্রমণ পুরোপুরি বন্ধ না হলেও কমাতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়।

তবে এটি বেশি কাজ করে নারীদের সঙ্গে যে পুরুষরা যৌন সম্পর্ক করেন তাদের ক্ষেত্রে। সমকামী পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি কতটা কাজ করে সেটি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

আফ্রিকাতে যে কারণে খৎনার বিষয়ে উৎসাহিত করা হচ্ছে-
২০০৮ সালে পাশের দেশ কেনিয়াতে স্বেচ্ছায় খৎনা করিয়ে একটি ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়েছিলেন সেখানকার অনেক সংসদ সদস্য। দেশের অন্যান্য পুরুষদের এব্যাপারে উৎসাহিত করতে তারা এমনটা করেন। আফ্রিকাতে এইচআইভি জীবাণু সংক্রমণ ও এইডস একটি মারাত্মক সমস্যা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব মতে বিশ্বের মোট এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির প্রায় ৭০ ভাগ বাস আফ্রিকাতে। এইডস থেকে মৃত্যুর ৭২ ভাগ আফ্রিকাতে। এটি আফ্রিকার সবচাইতে ভয়াবহ জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি বলে বিবেচিত।

তানজানিয়াতে প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৫ ভাগ এই জীবাণুতে আক্রান্ত।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: