কিউকমের সিইও গ্রেফতার নিয়ে যা বলছে ডিবি, সরাসরি

করোনাকালীন সময় অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্স ব্যবসার দ্রুত প্রসার ঘটে এবং গ্রাহকরা প্রতারণার শিকার হয়। এর ধারাবাহিকতায় প্রতারণার অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের প্রধান নিবার্হী কমকর্তা রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত রিপন মিয়া জানায়, কিউকম প্রায় লক্ষাধিক পণ্য অনলাইনে বিক্রি করে। ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার জন্য "বিজয় আওয়ার" "স্বাধীনতা আওয়ার" " বিগ বিলিয়ন" নামে ২ থেকে ১৫ দিন সময় দিয়ে অনেক কম দামে মোটরসাইকেল অফার করতো। ১ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকার মোটরসাইকেল অর্ডার করতো। কিন্তু কিউকমে লাভের টাকা ফেরত না পাওয়ায়, সকল ক্রেতা হতাশ হয়ে কিউকমে যোগাযোগ করে। 

এরপর কিউকমে লাভের টাকা ফেরত অফারে ক্রেতারা লোভে পড়ে লাভের অংশ হতে ১০% - ২০% কমে কিউকম হতে টাকা চেক গ্রহণ করে কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুন মাসে Escrow System চালু করায় ক্রিতের টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত Payment Getway এর মাধ্যমে চলে যায়। 


ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে কিউকমের প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হল। ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা ও রিং আইডির শীর্ষ নির্বাহী, মালিক ও পরিচালকদের এর আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মত কিউকমের বিরুদ্ধেও গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে পণ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ আছে।

Share this news on: