দেশে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন

চা উৎপাদনে রেকর্ড করেছে দেশ। গেল বছর ৯ কোটি ৬৫ লাখ ৫ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। দেশের চা শিল্পের ১৬৮ বছরে এটাই সর্বোচ্চ উৎপাদনের নতুন রেকর্ড।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের হিসেবে ২০২১ সালে দেশের ১৬৭টি চা বাগান এবং ক্ষুদ্র উদ্যোগ থেকে ৯ কোটি ৬৫ লাখ ৫ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। যা আগের বছরের চেয়ে ১ কোটি ১ লাখ কেজি বেশি। আর এসব চায়ের প্রায় ৭০ ভাগ উৎপাদন হয় মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগানে।

সঠিক নেতৃত্ব ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সমতলের চা-বাগান ও ক্ষুদ্র চা চাষ থেকে গেল বছর ৪১ শতাংশ উৎপাদন বেড়েছে। এ কথা জানিয়ে চা বাগান সংশ্লিষ্টরা নিম্নমানের চা আমদানি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।

শ্রীমঙ্গলের জেরিন চা বাগানের উপ-মহাব্যবস্থাপক সেলিম রেজা চৌধুরী বলেন, যে চা আমদানি করা হয় তা অনেক নিম্নমানের। যা আমাদের চায়েরও কোয়ালিটি খারাপ করে দেয়। সরকারের প্রতি অনুরোধ আমদানি কমাতে আমদানি ট্যাক্সটা যেন বাড়ানো হয়।

উৎপাদন বাড়াতে চা বাগানগুলোতে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের চা চাষিদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক বলেন, বাংলাদেশ চা বোর্ডের নজদারির কারণে ও আবহাওয়া অনুকূলে ছিলো তাই এই উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।

এছাড়া এ উৎপাদন বাড়ার পেছনে কাজ করছেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এর একদল বিজ্ঞানী।

বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী জানান, আমরা বিজ্ঞানীরা প্রতিটি বাগানে উপদেশমূলক ভ্রমণ করেছি। আমরা বিভিন্ন ওয়ার্কশপ করিয়েছি। পোকামাকড় দমন ও রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে আমাদের তৎপরতা ছিলো প্রচুর। উৎপাদন ভালো হয়েছে বলে আমি মনে করি।

সবশেষ ২০১৯ সালে রেকর্ড ৯ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়। পরের বছর তা নেমে আসে ৮ কেটি ৬৩ লাখ ৯০ হাজার কেজিতে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শৈত্যপ্রবাহ না আসা পর্যন্ত নভেম্বরজুড়েই চলবে ‘এই শীত, এই গরম’ Nov 20, 2025
img
দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় Nov 20, 2025
img
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ ৪ Nov 20, 2025
img
বাবা আমার সঙ্গেই আছে: নিষাদ হুমায়ূন Nov 20, 2025
img
হোয়াইট হাউসে ডিনারের পর ট্রাম্পকে ‘ধন্যবাদ’ দিলেন রোনালদো Nov 20, 2025
img
মাধুরীর নতুন লুক, গয়না খুলে কয়েদির পোশাকে মাধুরী! Nov 20, 2025
img
পিছিয়ে গেল বিপিএলের নিলাম Nov 20, 2025
img
মালিতে সেনা অভিযানে প্রাণ গেল ৩১ জনের Nov 20, 2025
img
দিল্লিতে দোভাল ও খলিলুরের বৈঠক; আলোচনার বিষয় কী? Nov 20, 2025
img
লামায় ট্রাক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল চালক Nov 20, 2025
img
মালদ্বীপের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য সিট বরাদ্দ Nov 20, 2025
img
তার সঙ্গে কাজ করে খুব ভালো লেগেছে : বিজয় বর্মা Nov 20, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান ৫ম Nov 20, 2025
img
মিলিতাওকে ঘিরে দুঃসংবাদ পেল রিয়াল মাদ্রিদ Nov 20, 2025
img
মামদানির সঙ্গে সাক্ষাতের ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প Nov 20, 2025
img
কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের কাতারে মুশফিক Nov 20, 2025
img
চাকরি থেকে বরখাস্ত তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট Nov 20, 2025
img
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল Nov 20, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনে ইসির শক্ত ভূমিকা চায় রাজনৈতিক দলগুলো Nov 20, 2025
img
পাঁচটি জরুরি বিষয় অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করতে চায় বিএনপি : তারেক রহমান Nov 20, 2025