হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদার ভারতে গ্রেফতার

হাজার কোটির বেশি টাকা আত্মসাৎ করে দেশ থেকে চলে যাওয়া প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার গ্রেপ্তার হয়েছেন।

শনিবার দুপুরে পি কে হালদারের গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি ভারত থেকে একটি কূটনৈতিক সূত্র প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগরে সুকুমার মৃধা নামের পি কে হালদারের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির তিন বাড়িতে অভিযান চালায় ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই সংস্থা আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্ত করে থাকে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে বসবাস করতেন। প্রদেশের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। শনিবার সেখান থেকে পি কে হালদারসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

এর আগে, শুক্রবার দিনভর কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার অন্তত ৯টি স্থানে অভিযান চালায় ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেসময় উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার পোলেরহাটে দু’টি বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় পি কে হালদারের ব্যক্তিগত আইনজীবী সুকুমার মৃধার অবৈধ সম্পত্তির খোঁজে অভিযান শুরু করে ভারতের এই সংস্থা। কর্মকর্তারা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে এই তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে প্রচুর নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন।
পরে শনিবার পি কে হালদারের সম্পত্তির খোঁজে দ্বিতীয় দফায় আবারও অভিযান শুরু করে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত মুম্বাই এবং রাজধানী দিল্লিতেও অভিযান চালায় ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী এই সংস্থা।
ইডি বলেছে, ব্যক্তিগত আইনজীবী সুকুমার মৃধার সহায়তায় পি কে হালদার পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের একাধিক রাজ্যে বিপুল সম্পদ করেছেন। বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে অর্থপাচারের মাধ্যমে ভারতে একাধিক অভিজাত বাড়িসহ বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন বলে খোঁজ পেয়েছে ইডি।
দেশটির কেন্দ্রীয় এই তদন্ত সংস্থা বলছে, তারা ইতোমধ্যে পি কে হালদারের কাছ থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছেন। এসব নথিতে প্রাথমিকভাবে ভারতে তার ২০ থেকে ২৫টির মতো বাড়ির মালিকানার তথ্য মিলেছে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এনসিপি Dec 29, 2025
img
এনসিপির আখতার হোসেনকে জামায়াত প্রার্থীর সমর্থন Dec 29, 2025
img
ইনজুরির কাছে হার মেনে অবসরে গেলেন ব্রেসওয়েল Dec 29, 2025
img
বিগ ব্যাশে আবারও রিশাদের ঝলক Dec 29, 2025
img
যদি রাস্তায় কাগজ বা ময়লা পড়ে থাকে, আমরা সরিয়ে দেবো: তারেক রহমান Dec 29, 2025
img
প্রেমের গুঞ্জন উসকে দিলেন অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি Dec 29, 2025
img
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শ্রাবণী আর নেই Dec 29, 2025
img
ওসমান হাদির সহানূভুতি নিয়ে ঢাকা-৮ এ ইনকিলাব মঞ্চের কেউ ভোট করবে না Dec 29, 2025
img
ফের মা হওয়ার গুঞ্জনে মুখ খুললেন বুবলী Dec 29, 2025
img
আবু সাঈদ হত্যা : তদন্ত কর্মকর্তার অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণ ৬ জানুয়ারি Dec 29, 2025
img
সাকিবের সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানালেন তাসকিন Dec 29, 2025
img
দেড় যুগ পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তারেক রহমান Dec 29, 2025
img
আজীবন আ. লীগের পাশে থাকার ঘোষণা দেওয়া সেই জসিম এবার বিএনপির প্রার্থী Dec 29, 2025
img
তোদের আসল রূপ দেখালি, এনসিপি প্রসঙ্গে সোহেল রানা Dec 29, 2025
img
লিটন ও মালানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রামকে ৭ উইকেটে হারাল রংপুর রাইডার্স Dec 29, 2025
img
শাহবাগে যানচলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে জনসাধারণ Dec 29, 2025
img
ঢাকা-১৫ আসনের জন্য জামায়াত আমিরের পক্ষে ইসিতে মনোনয়নপত্র জমা Dec 29, 2025
img
ঢাকার শীতে সাফা কবিরের মনে পড়ল পুরোনো দিনের স্মৃতি Dec 29, 2025
img
বিএনপিকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করুন : ড. খন্দকার মোশাররফ Dec 29, 2025
img
সিলেট টাইটান্সের ম্যাচ না থাকায় দর্শকশূন্য স্টেডিয়াম Dec 29, 2025