আবারও বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে বেড়েছে আরও ২০ থেকে ৪০ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে সংকট থাকায় দাম বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচের দাম হাঁকাচ্ছেন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। আর প্রতি কেজি বিক্রি করছেন ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকায়। অনেক স্থানে এর চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও মানভেদে একটু কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
অথচ একদিন আগেও বাজারগুলোতে ব্যবসায়ীরা এক পোয়া কাঁচা মরিচের দাম হাঁকিয়েছেন ১২০ টাকা। এক কেজি নিলে ৪৮০ থেকে ৪৯০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন তারা। ঠিক দু’দিন আগে সোমবার (৩ জুলাই) ও মঙ্গলবার (৪ জুলাই) রাজধানীতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২৬০ টাকায়।
বাজারে আসা জানজিদা পারুল বলেন মরিচের দাম অনেক বেশি। দু’দিন আগে এক পোয়া কিনেছি ৬০ টাকায়। আজকে বলছে এক পোয়া ১৪০ টাকা। এটা কীভাবে সম্ভব! দেশটা কি মগের মুল্লুক পেয়েছে?
মধ্যবাড্ডা পাঁচতলা বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মরিচের দাম বাড়তি, তাই এক পাল্লা এনেছি। এক পাল্লার দাম পড়েছে ২৩৩০ টাকা। গাড়ি ভাড়াসহ দাম পড়েছে প্রায় ২৪০০ টাকা। আমি বিক্রি করছি ৫৩০-৫৪০ টাকা কেজিতে। আড়াই হাজার টাকা খাটিয়ে দু-চারশ’ টাকা লাভ না করলে দোকান ভাড়া কোথায় থেকে দেব আর আমি কীভাবে চলব।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, গত সোমবার ও মঙ্গলবার ভারত থেকে কাঁচা মরিচ এসেছে এই খবরে কেজিতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কমে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
মঙ্গলবার হঠাৎ করে মরিচের দাম বাড়ায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজারে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করে ভোক্তা অধিদপ্তর। তাদের অভিযানের কারণে কমেছিল মরিচের দাম। তবে এর একদিন পর আজ থেকে দাম বেড়ে আবারও ৫০০ টাকায় বিক্রি শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। রাজধানীর কোথাও কোথাও শুরুতে ৬০০-৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে থাকে রান্নার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ উপকরণটি। তবে কোনো এলাকায় এক হাজার টাকা কেজি থেকে ১২০০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রির খবরও পাওয়া যায়। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, বাজারকে স্থিতিশীল করতে ভারত থেকে মোট ১ লাখ টনের বেশি কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়েছে।