ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মসুলের টাইগ্রিস নদীতে ফেরি ডুবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৪ জনে পৌঁছেছে। খবর বিবিসির।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফেরিটিতে প্রায় ২শ’ আরোহী ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে ১৯ জন শিশু, ৬১ জন নারী রয়েছেন।
কুর্দি পঞ্জিকা অনুসারে নওরোজ (নববর্ষ) উদযাপনের মধ্যে বৃহস্পতিবার মসুল থেকে যাত্রী নিয়ে মোটামুটি চার কিলোমিটার উজানে পর্যটন দ্বীপ উম রাবায়েনে রওনা হয়েছিল ওই ফেরি। যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন।
দুর্ঘটনার পর নদী থেকে ৫৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করার কথা জানিয়ে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা বলেছেন, ফেরির আরোহীদের মধ্যে অধিকাংশই সাঁতার জানতেন না।
মসুলের সিভিল ডিফেন্স অথরিটির প্রধান হুসাম খলিল বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ওই ফেরিতে ধারণ ক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি যাত্রী তোলা হয়েছিল।
‘এটা সাধারণত ৫০ জন যাত্রী নিতে পারে। কিন্তু ঘটনার সময় ফেরিতে অন্তত দু’শ মানুষ ছিল।’
ওই ফেরির পাঁচ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বেঁচে যাওয়া একজন যাত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, অনেক বেশি লোক তোলায় যাত্রা শুরুর পরপরই ফেরিতে পানি উঠতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সেটি কাত হয়ে ডুবে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মসুলের সরকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ রয়টার্সকে বলেন, তিনি নদীর কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ তিনি ফেরিটি ডান দিকে কাত হয়ে যেতে দেখেন এবং এর পরপরই সেটি ডুবতে শুরু করে।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদি এ দুর্ঘটনার কারণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এক টুইটে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
টাইমস/এসআই