১১৬ টন পেঁয়াজ এলো পাকিস্তান থেকে, দাম কমা শুরু

পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। তাই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি লাভজনক না হওয়ায় পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আনছেন ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ১১৬ টন পেঁঁয়াজ নিয়ে কনটেইনারগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। জাহাজ থেকে নামিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কনটেইনারে থাকা পেঁয়াজগুলো গতকাল সন্ধ্যায় বন্দর থেকে ছাড় নেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার সেগুলো চট্টগ্রাম ও ঢাকার আড়তে পৌঁছবে।

রপ্তানিমূল্য এবং শুল্কহার বাড়িয়ে দেওয়ায় গত ২০ আগস্ট ভারত থেকে আসা পেঁয়াজ নিয়ে দেশের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। তখন পাইকারিতেই দাম কেজি ৬২ টাকায় পৌঁছায়। দাম আরও বাড়বে এই শঙ্কায় বিকল্প ১০ দেশ থেকে ৩৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। সেই অনুমতির প্রায় ২০ দিন পরই প্রথম দেশ হিসেবে পাকিস্তান থেকেই এলো পেঁয়াজ।

অন্য দেশ থেকে ধারাবাহিকভাবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আসবে বাকি পেঁয়াজ। মূলত ১০ বিকল্প দেশের তুলনায় পাকিস্তানের পেঁয়াজের দাম কম থাকা এবং সহজে আসার সুযোগ থাকায় সেগুলো ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা দিতে পারবে। এর ফলে দেশের বাজারে দাম আরও কমে যাবে। এরই মধ্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে, সে হিসেবে দামও কমেছে।

চট্টগ্রাম উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তরের উপপরিচালক নাছির উদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘দুটি চালানে ঢাকার আমদানিকারক সাদ এন্টারপ্রাইজ ১১৬ টন পেঁয়াজ এনেছে পাকিস্তান থেকে। এই বছর পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘটনা প্রথম। পণ্যের নমুনা জমা দিয়েছেন আমদানিকারকের নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। নমুনা পরীক্ষণে উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর কোনো রোগ-বালাই না থাকায় আমরা ছাড়পত্র সনদ দিয়েছি। মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যেই সেগুলো বন্দর থেকে দ্রুতই ছাড় পাবে। ’

উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তরের হিসাবে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত ১৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭০৮ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর বিপরীতে পেঁয়াজ এসেছে চার লাখ ৪৩ হাজার ৬১৩ টন। শুধু ২৩ আগস্ট থেকে গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত থেকেই পেঁয়াজ এসেছে ৪৬ হাজার টনের বেশি।

বদলে বিকল্প ১০ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেওয়া হয়েছে ৩১ হাজার টন। এসব দেশের মধ্যে আছে নেদারল্যান্ডস, আরব আমিরাত, তুরস্ক, কাতার, মিসর, পাকিস্তান ও আমেরিকা অন্যতম।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মুজিববাদ ও মওদুদীবাদের বিরুদ্ধে বিএনপি-এনসিপির ঐক্য চান পাটোয়ারী Dec 02, 2025
img
ধূমপানমুক্ত দেশ গড়ার ইতিহাসের অপেক্ষায় সুইডেন Dec 02, 2025
img
সামান্থা-রাজের আধ্যাত্মিক বিবাহ, ভীষণ আড়ম্বরহীন! Dec 02, 2025
img
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস সিইসির Dec 02, 2025
img
আমাদের দেশে চরিত্রবান নেতার অভাব: এটিএম আজহার Dec 02, 2025
img
নাহিদ ইসলামের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ Dec 02, 2025
img
বিপিএল নিলামে দল পাওয়া নিয়ে লিটন দাসের মন্তব্য Dec 02, 2025
img
২য় বারের মতো বেবিবাম্প ফটোশুটে ভারতী সিং Dec 02, 2025
img
মানুষের রচিত মতবাদ বাংলাদেশে রাখতে চাই না : মুজিবুর রহমান Dec 02, 2025
img
পরীক্ষা দিতে কারাগারে বই চেয়েছেন সাবেক এমপি তুহিন Dec 02, 2025
img
মুক্তির আগেই বিতর্কে 'ধুরন্ধর', মেজর মোহিত শর্মার পরিবারে ক্ষোভ Dec 02, 2025
img
বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পোশাক কিনতে চায় পোলিশ ব্র্যান্ড এলপিপি এসএ Dec 02, 2025
img
তারেক রহমানকে কেন ট্রাভেল ভিসা দেয়া হবে, জানা নেই: আমীর খসরু Dec 02, 2025
img
আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে পাওয়া যাবে ৫০০ টাকার নতুন ব্যাংক নোট Dec 02, 2025
img
১৬ ডিসেম্বর থেকে বিনা খরচে দেখা যাবে থাম্মা Dec 02, 2025
img
রাত থেকেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা, শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা Dec 02, 2025
img
ক্যারিয়ারের শুরুতেই কঠিন সময় পার করছেন ভাগ্যশ্রী Dec 02, 2025
img
স্মৃতি–পলাশের বিয়ে কি শেষ পর্যন্ত হচ্ছে? Dec 02, 2025
img
খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্রের জন্য আপসহীন নেত্রী: রাশেদ খান Dec 02, 2025
img
শুধু চাইলেই কমার্শিয়াল ছবি সম্ভব নয়: চিরঞ্জিৎ Dec 02, 2025