নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কেউ বিতর্কিত আচরণ করলে ব্যবস্থা : সিইসি

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো অবস্থাতেই জেলা প্রশাসকের আচরণে পক্ষপাতমূলক কোনো আচরণ প্রতিফলিত হোক তা নির্বাচন কমিশন চায় না বলে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার আগে যদি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা বিতর্কিত আচরণ করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারে।

তিনি বলেন, জনগণের আস্থা ও নির্বাচনের স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে নির্বাচন কমিশন।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেও যদি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা বিতর্কিত আচরণ করেন তাদের বিরুদ্ধে ইসি ব্যবস্থা নিতে পারে, এই সুযোগ ইসির আছে।

নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ায় জামালপুরের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দেয়া চিঠির প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, তফসিলের আগে এমন চিঠি দিতে কোনো বাধা নেই। পাঁচ বছরের পুরো সময়ে আমাদের নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, কর্তব্য ও এখতিয়ার রয়েছে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, তফসিল ঘোষণার পর কিছু সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব যেগুলো বাধ্যতামূলক আমাদের করতেই হবে। তফসিলটা হচ্ছে নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্যায়। যেখান থেকে ধাপে ধাপে আমাদের পোলিং ডে এবং নির্বাচন ঘোষণা করতে হয়। এখন নির্বাচনের আগেও যদি কোনো কিছু যা নির্বাচনের আস্থাভাজনতা, সরকার বা নির্বাচন কমিশনের আস্থাভাজনতা বা যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন তাদের তাদের পক্ষপাতহীন আচরণ নিয়ে যদি কোনো বিতর্ক উপস্থাপিত হয় তাহলে নির্বাচন কমিশন অবশ্যই সেটা সরকারের নজরে আনতে পারে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে জামালপুরের ডিসির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আমরা চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছিলাম, তাকে প্রত্যাহার করে সকল জেলা প্রশাসকদের সতর্কবার্তা দিতে যাতে এই ধরণের আচরণ না হয়। এটা নির্বাচনের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের স্বার্থে।

সেক্ষেত্রে নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলে বিরোধী দল যা বলছে তা নিয়ে কমিশনের কাজ করার সুযোগ আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এমন জটিল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে না এই মুহুর্তে। তবে অবশ্যই আমরা ভোটের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করব। এটাকে বলে প্রক্ষেপণ। নির্বাচন তিন মাস পরে, ৪ মাস পরে, ছয় মাস পরে হবে। কিন্তু আমাদের পর্যবেক্ষণ সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গুমের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা Jul 03, 2025
img
দেশে নারী-শিশু নির্যাতন মহামারি পর্যায়ে : উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ Jul 03, 2025
img
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৮ জন Jul 03, 2025
img
নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : আব্দুস সালাম আজাদ Jul 03, 2025
img
ইরানের পরমাণু প্রকল্প মাত্র দু’বছর পিছিয়েছে: পেন্টাগন Jul 03, 2025
img
জামিনে ছাড়া পেয়ে ফের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, আবারও গ্রেফতার ‘টুন্ডা বাবু’ Jul 03, 2025
img
বিশেষ সম্মাননা পেতে চলেছেন আমির খান Jul 03, 2025
img
ঢাবির আইবিএ ক্যান্টিন সংস্কারের সময় দেয়াল চাপা পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু Jul 03, 2025
img
বাবু ভাইয়া ফিরতেই রসিকতা শুরু সুনীল শেঠির! Jul 03, 2025
img
বিসিবির কোচ হিসেবে যোগ দিলেন সাবেক ক্রিকেটার নাজিমউদ্দিন Jul 03, 2025
img
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পারমাণবিক নিরাপত্তা চুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন Jul 03, 2025
img
পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে স্থানীয় পর্যায়ে নেতা ও নেতৃত্ব তৈরি হবে না : রিজভী Jul 03, 2025
img
রাজবাড়ীতে চাঁদা না পেয়ে বালু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম Jul 03, 2025
img
যাত্রাবাড়ীর হত্যা মামলায় শরীয়তপুরের সাবেক মেয়র গ্রেফতার Jul 03, 2025
যে ১টা কারণে আপনি ধরা খেতে পারেন Jul 03, 2025
img
তাবেলা সিজার হত্যা মামলার রায়: তিন আসামির যাবজ্জীবন, খালাস ৪ Jul 03, 2025
ফর্মহীন লিটন দাস ! ৮ ইনিংসে মাত্র ১৩ রান, কেন এমন অবস্থা? Jul 03, 2025
বলিউডে অভিষেক শানায়ার, ছবির ট্রেইলার দেখে আবেগাপ্লুত বাবা সঞ্জয় কাপুর Jul 03, 2025
বাতিল প্রতীকী ব্ল্যাকআউট, বহাল থাকবে বাকি আয়োজন Jul 03, 2025
যুদ্ধ নয়, শান্তির পথে বিশ্বের নিরপেক্ষ ১২টি দেশ Jul 03, 2025