কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

লাখ ২৮ হাজার গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, কোরবানির জন্য ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ৭১৬টি গরু ও মহিষ, ৭৬ লাখ ১৭ হাজার ৮০১টি ছাগল-ভেড়া, এক হাজার ৮৫০টি অন্যান্য প্রজাতির প্রাণী প্রস্তুত আছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকালে রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং কোরবানি পশুর পরিবহন নিশ্চিতকল্পে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, এ বছর ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে, যা গতবারের চেয়ে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪টি বেশি।
আর এক কোটি ৭ লাখ ২ হাজার ৩৯৪টি পশুর চাহিদা থাকতে পারে বলে সম্ভাবনার জায়গা আমরা ধরে নিয়েছি।

আব্দুর রহমান বলেন, বাজারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নির্ভেজাল ও নিষ্কণ্টকভাবে কাজ করা হবে। কোরবানির পশু নিয়ে আমরা যে প্রাকসভা করেছি তা সফল হয়েছে। কোরবানির দিনটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব পর্যায়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ থাকবে। কোরবানি সুষ্ঠু ও সুন্দর হোক এ প্রত্যাশা সকলের পূরণ করতে হবে।

পশুর সংখ্যা কীভাবে নিরুপণ করা হয়েছে এ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের অধিদফতরের লোকজন ঘরে ঘরে গিয়ে জরিপ ও তথ্য সংগ্রহ করেছে। সে আলোকেই আমরা এ সংখ্যা নির্ধারণ করেছি।

পশুর দাম নির্ধারণে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাহিদা ও সরবরাহে পার্থক্য থাকলে দামটা সামনে আসে। এবার যেহেতু যাচাই-বাছাই করে সংগ্রহের যে পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে তাতে চাহিদা ও যোগানে পার্থক্য বেশি পার্থক্য থাকবে না। সেজন্য মনে হয় দাম ঠিকই থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, বাইরে থেকে যেন পশু না আসে, এটা আমাদের আগেরই নীতিগত সিদ্ধান্ত। এ সুযোগ নেই। চোরাই পথে যাতে না আসে, সে ব্যাপারেও আমরা সতর্ক এবং সজাগ থাকব।

সভায় মন্ত্রণালয়টির সচিব সেলিম উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. রেয়াজুল হক, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন প্রমুখ।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নারায়ণগঞ্জে বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল ওয়াসা কর্মী Oct 27, 2025
img
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইসক্রিম ফ্যাক্টরিকে জরিমানা Oct 27, 2025
img
২৮ অক্টোবরের ধারাবাহিকতায় দেশে সন্ত্রাসী রাজনীতির সূচনা করেছিল আ. লীগ : ডা. শফিকুর রহমান Oct 27, 2025
img
নোয়াখালীতে ১৪ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার Oct 27, 2025
img
সুন্দরবনে বনদস্যু বাহিনীর প্রধান আটক Oct 27, 2025
img
এল ক্লাসিকোর পর ইয়ামালকে খোঁচা দিয়ে বেলিংহামের পোস্ট Oct 27, 2025
img
টানা ৩ হারে বেহাল জুভেন্টাস, লাৎসিওর কাছে পরাজয় ১-০ গোলে Oct 27, 2025
img
ক্রিস্টাল প্যালেসকে ১-০ গোলে হারাল আর্সেনাল Oct 27, 2025
img
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠকে তারেক রহমানের স্পষ্ট নির্দেশনা Oct 27, 2025
img
ইবাদত কবুলের প্রধান শর্ত হলো হালাল পথে উপার্জন : ধর্ম উপদেষ্টা Oct 27, 2025
img
ইসি নূন্যতম সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য পারঙ্গম নয়: সামান্তা Oct 27, 2025
img
ভবিষ্যতের নতুন রূপরেখা তুলে ধরলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট Oct 27, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত Oct 27, 2025
img
অর্থনৈতিক উন্নয়নের গ্রহণযোগ্য সমাধান ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট : মান্না Oct 27, 2025
img
কালামের শেষকথা, ‘দু-এক দিনের মধ্যেই বাড়ি আসব, ইলিশ কিনে রেখো’ Oct 27, 2025
img
নির্বাচনের আগ মুহূর্তে নিউইয়র্কের মুসলিমদের উদ্দেশে মামদানির আবেঘন বার্তা Oct 27, 2025
img
“একাই এসেছি, একাই যাব” - নিঃসঙ্গতার দর্শনে অনুপম রায় Oct 27, 2025
img

অমিতাভ বচ্চন

“না মানেই শেষ কথা” Oct 27, 2025
img
সাভারে ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১ Oct 27, 2025
img
জাপানে দক্ষ চালক নিয়োগে বাংলাদেশে ড্রাইভিং স্কুল স্থাপনের ঘোষণা Oct 27, 2025