গাজায় যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘে মার্কিন প্রস্তাব পাস

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাস হয়েছে। গতকাল সোমবার (১০ জুন)) মার্কিন এই প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪ দেশের ভোটে পাস হয়। তবে প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট না দিলেও ভোটদানে বিরত ছিল রাশিয়া। খবর আলজাজিরার।

মূলত নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবটি গত মাসেই ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল এই প্রস্তাবকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাল সংস্থাটি।

এবারের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করার কথা বলেছেন বাইডেন। প্রথম পর্যায়ে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে। এ সময়ে গাজার সব জনবহুল এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সরিয়ে নেয়া হবে। যুদ্ধবিরতির এই সময় ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে হামাস ‘নির্দিষ্ট সংখ্যক’ ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে। তাদের মধ্যে নারী, বয়স্ক ব্যক্তি ও আহত বন্দিরা থাকবেন।

দ্বিতীয় পর্যায়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং অবশিষ্ট বন্দিদের মুক্তি দেবে হামাস। তাদের মধ্যে ইসরায়েলি বন্দি পুরুষ সেনারাও থাকবেন। পাশাপাশি গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ সেনাকে সরিয়ে নেয়া হবে।

তৃতীয় পর্যায়ে জিম্মি ফেরানোর প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ করা হবে। গাজার জন্য বড় ধরনের একটি পুনর্গঠন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। এর আওতায় মার্কিন ও আন্তর্জাতিক সহায়তায় গাজা উপত্যকায় বাড়ি, বিদ্যালয় ও হাসপাতাল পুনর্নির্মাণ করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে ইসরায়েল এই প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে বাইডেনের এই প্রস্তাব ঘোষণার পরও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা গাজার শাসক হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

তবে প্রাথমিকভাবে মার্কিন এই প্রস্তাবটি ইতিবাচকভাবে দেখার কথা জানিয়েছিল হামাস। গতকাল নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া এই প্রস্তাবে রাজি হতে হামাসের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নারী এশিয়া কাপ: বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ভারত Jul 26, 2024
img
সহিংসতায় ঢাকায় ২০৯ মামলা, গ্রেপ্তার ২৩৫৭ Jul 26, 2024
img
সহিংসতায় আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গেলেন প্রধানমন্ত্রী Jul 26, 2024
img
৩০০ কক্ষ ভাঙচুর, সংস্কারের পরই চালু হবে শিক্ষা কার্যক্রম: ঢাবি উপাচার্য Jul 26, 2024
img
অলিম্পিক উদ্বোধনের আগেই ফ্রান্সে দ্রুতগতির রেল নেটওয়ার্কে হামলা ও অগ্নিসংযোগ Jul 26, 2024
img
আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী Jul 26, 2024
img
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ : হারুন Jul 26, 2024
img
ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে দূরপাল্লার বাস Jul 26, 2024
img
‘হাসিন দিলরুবা’র পরের কিস্তিতে চমক নিয়ে আসছেন তাপসী পান্নু Jul 26, 2024
img
শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভুল প্রতিবেদন, ক্ষমা চাইল ‘ইন্ডিয়া টুডে এনই’ Jul 26, 2024