চারদিনে খান ইউনিসে প্রায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ

ইসরায়েলি বোমা হামলা থেকে বাঁচতে মাত্র চারদিনে গাজা উপত্যকার খান ইউনিস শহরে প্রায় দুই লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ বলেছে, সম্প্রতি খান ইউনিস এলাকায় লড়াইয়ের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গাজায় অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির নতুন ঢেউ শুরু হয়েছে। সোমবার ও বৃহস্পতিবারের মাঝে মধ্য ও পূর্ব খান ইউনিস থেকে এক লাখ ৮২ হাজারের মতো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ ছাড়া আরও হাজার হাজার মানুষ পূর্ব খান ইউনিসে আটকা পড়েছেন।

এর আগে গত সোমবার (২২ জুলাই) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দক্ষিণ গাজার এই শহরের কিছু অংশ খালি করার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে এসব এলাকায় জোর করে অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেয় নেতানিয়াহু বাহিনী। তারপর দেইর এল-বালাহয় অবস্থিত আলজাজিরার একটি দল জানায়, খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা করে আসছে ইসরায়েল। ইতিমধ্যে ছোট্ট এই উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ৩৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

গত নভেম্বরে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাতদিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির আওতায় হামাস শতাধিক ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তিও দেয়। তবে এখনো তাদের হাতে শতাধিক ইসরায়েলি বন্দি রয়েছে। মাস খানেক আগে দুপক্ষের মাঝে একটি যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় আলোচনায় অগ্রগতি হলেও শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তি হয়নি।

Share this news on: