নেপালকে কাঁদিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

টানাতো বটেই, কখনো কোনো খেলায় দু’বার দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব জয়ের রেকর্ড ছিল না বাংলাদেশের। নারীদের সামনে সুযোগ ছিল সেই ইতিহাস গড়ার। সেটিকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে নেপালের হাজার হাজার দর্শককে স্তব্ধ করে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ঘরে তুলেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হলো নেপাল। 

বুধবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় শুরু হওয়া ম্যাচে গ্যালারীতে উপচে পড়া ভিড় ছিল। ম্যাচটি বাংলাদেশ ২-১ গোলে জয়লাভ করে। বাংলাদেশের হয়ে গোল দুটি করেন মনিকা চাকমা ও ঋতুপর্ণা। নেপালের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ফরোয়ার্ড আমিশা। এ নিয়ে ৬ বার হৃদয় ভাঙল নেপালের। গত আসরেও তারা বাংলাদেশের কাছে শিরোপা হারিয়েছিল।

নারীদের সাফে সবচেয়ে শক্তিশালী দল ছিল ভারত। যার সাত আসরের ৫টিরই চ্যাম্পিয়ন। ২০২২ সালে ভারতের আধিপত্যের ইতি টেনে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এরপর দেশে ফিরলে ছাদখোলা বাসে করে বাঘিনীদের বরণ করে নেয় বাংলাদেশের মানুষ। তাদের বরণে কোনো কমতি ছিল না বাংলাদেশের। এবার আবার এমন বরণ হবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে। 

অথচ আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের ম্যাচে গোলশূন্য শেষ হয় দু’দলের ছন্দহীন প্রথমার্ধ। বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচ জমে উঠে। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে বাংলাদেশকে লিড এনে দেন মনিকা চাকমা। নেপালের ডি বক্সে বল পেয়ে মনিকা চাকমা ডানপ্রান্ত থেকে আড়াআড়ি শটে স্বাগতিক গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। তবে এই গোল শোধ করতে বেশি সময় নেয়নি নেপাল। দুই মিনিট পরেই তারা ম্যাচে সমতা ফেরায়। আমিশার নেয়া শটে রূপনা চাকমা পড়ে না গেলে হয়তো লাল সবুজের বাঁচাতে পারতেন।

৮১ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠে বাংলাদেশ। সতীর্থের কাছ থেকে কর্নার কিক-জোনে বল ঋতুপর্ণা চাকমা। তাতে টেক্কা দিচ্ছিলেন নেপালের দুই খেলোয়াড়। সেখান থেকেই শট নেন ঋতু। নেপাল গোলরক্ষক হাত লাগাতে সক্ষম হলেও বলের গতিরোধ করতে পারেননি, বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ২-১ গোলে।

শেষদিকে উভয় দলই আরও কয়েকটি আক্রমণ শানায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউই আর জালের দেখা পায়নি। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় সাবিনা খাতুনদের উল্লাস।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ ছায়ানটের Dec 20, 2025
img
দেশের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাই সমাজের প্রকৃত সেবক : সেলিমুজ্জামান Dec 20, 2025
img

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল ১৯-এর বিবৃতি

কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে Dec 20, 2025
img
রাশিয়াকে পশ্চিমা দেশগুলো সম্মান করলে আর যুদ্ধ হবে না : পুতিন Dec 20, 2025
img
ঢাকায় নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন Dec 20, 2025
img
২০ ডিসেম্বর: ইতিহাসে এই দিনে আলোচিত যতো ঘটনা Dec 20, 2025
img
কেমন থাকবে আজ ঢাকার আবহাওয়া? Dec 20, 2025
img
ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র Dec 20, 2025
img
লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন জুবাইদা রহমান Dec 20, 2025
img
সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি : প্রধান উপদেষ্টা Dec 20, 2025
img
তাসকিনের ৩ উইকেট, ফিজের ২, জয় পেল দুবাই ক্যাপিটালস Dec 20, 2025
img
আসছে ‘ফোর ইডিয়টস’, কে থাকছেন চার নম্বরে ? Dec 20, 2025
img
মঞ্চে মাদক সেবনে কারাদণ্ড উইজ খলিফার Dec 20, 2025
img
মুন্সীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১০ Dec 20, 2025
img
শহীদ ওসমান হাদির জানাজা বেলা দুইটায় Dec 20, 2025
img
ওসমান হাদির ঘটনায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতি Dec 20, 2025
img
নতুন লুকে নজর কাড়লেন কেয়া পায়েল Dec 20, 2025
img
নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান হাবিবের Dec 20, 2025
img
হাদির ঘটনা-গণমাধ্যমে হামলা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চান সাকি Dec 20, 2025
img
হাজার কোটির ক্লাবে রণবীরের ‘ধুরন্ধর’ Dec 20, 2025