এবার পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে যত টাকা পাওয়া গেল

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে এবার ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া গেছে। তিন মাস ১৩ দিন পর শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে মসজিদের ১১টি দানবাক্স খোলা হয়। এতে ১১টি সিন্দুকে মোট ২৯ বস্তা টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।

এই টাকা গণনার কাজ করছেন প্রায় আড়াইশ শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৭০ জন কর্মী, মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সেনাবাহিনীর সদস্য মিলে প্রায় সাড়ে তিনশ জন। বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।

দানবাক্স খোলার সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারাসহ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া।

ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের অবস্থান কিশোরগঞ্জ শহরের নরসুন্দা নদী তীরে। এই মসজিদের লোহার দানবাক্সগুলো প্রতি তিন থেকে চার মাস পর পর খোলা হয়। মসজিদটিতে এর আগে ৯টি দানবাক্স থাকলেও এবার দুইটি বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছিল এ বছরের ১৭ আগস্ট। তখন ২৮ বস্তায় ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকাসহ বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল। 

মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানায়, সাধারণত তিন থেকে চার মাস পর পর দানবাক্স খোলা হয়। সারা দিনেও টাকা গুনে শেষ না করতে পারায় এবারও পাশের একটি মাদরাসা থেকে ১৫৩ জন শিক্ষার্থীকে গণনার কাজে আনা হয়েছে।

টাকা ছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য ভক্ত।

প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে দান করছেন এই মসজিদে। যারা দান করতে আসেন তাদের বিশ্বাস, এখানে দান করলে মনের আশা পূরণ হয়। এ কারণেই দিন দিন দানের পরিমাণ বাড়ছে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কক্সবাজারে এনসিপির কর্মসূচিতে ১৯৭১টি জাতীয় পতাকা বিতরণ Dec 06, 2025
img
ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় যুবলীগ নেতা জসিম গ্রেপ্তার Dec 06, 2025
img
দুর্ভিক্ষের সময় বঙ্গবন্ধু জাঁকজমক করে ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান করেন: মঞ্জু Dec 06, 2025
সামরিক অভিযানের জন্য দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের যুদ্ধজাহাজ : দাবি তাইওয়ানের Dec 06, 2025
শক্তি প্রয়োগ করে হলেও দনবাস অঞ্চল দখল করতে চান পুতিন Dec 06, 2025
বেগম জিয়াকে লন্ডন নিতে জার্মানি থেকে আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স Dec 06, 2025
বন্দর ইজারার কাজ বন্ধ না করলে অবরোধ-ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি স্কপের Dec 06, 2025
রাশিয়া ভারতের জন্য নিরবচ্ছিন্ন তেল সরবরাহে প্রস্তুত: পুতিন Dec 06, 2025
ঐতিহাসিকভাবেই ফ্যাসিস্ট আ. লীগ ছিল গণতন্ত্রের ভয়ংকর শত্রু: তারেক রহমান Dec 06, 2025
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মোদি সরকার অভিযোগ রাহুল গান্ধীর Dec 06, 2025
মার্কিন একতরফা নিষেধাজ্ঞাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘোষণা ইরানের Dec 06, 2025
‘মৃত খালেদা জিয়া’ মন্তব্য: পিরোজপুর ছাত্রদল সভাপতির প্রতিবাদ Dec 06, 2025
তুর্কিতে জুয়াকাণ্ড: ২৯ ফুটবলার গ্রেপ্তারের নির্দেশ Dec 06, 2025
img
অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে পাঠাতে নতুন আইন পাস করলো পর্তুগালে Dec 06, 2025
img
জার্মানির নাগরিকত্ব আবেদনে ভুল তথ্য দিলে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা Dec 06, 2025
img
৫৪ বছরে নেতারা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ক্ষমতায় গিয়ে জনগণকে ভুলে গেছেন: সাদিক কায়েম Dec 06, 2025
img
কৃতির দীর্ঘ ব্যর্থতার পর নতুন আত্মবিশ্বাসের অধ্যায় Dec 06, 2025
img
প্রলোভন দেখিয়ে ভোট নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে: ওয়াহাব আকন্দ Dec 06, 2025
img
কাজল-টুইঙ্কলের অনুষ্ঠানে না থাকা নিয়ে শাহরুখ খানের মন্তব্য Dec 06, 2025
img
চন্দননগরে নতুন জীবন শুরু মৌবনীর, মধুচন্দ্রিমায় কোথায় যাবেন? Dec 06, 2025