তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি ১৯ জানুয়ারি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে রিভিউ শুনানি ১৯ জানুয়ারি। বিএনপি ও জামায়াতের ১ মাস সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালতের এ সিদ্ধান্ত। রোববার (১ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বিভাগ শুনানির এ দিন নতুন করে ধার্য করেন।

এর আগে সকালে বিএনপির পক্ষে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ১ মাস সময় আবেদন করেন। এ সময় জামায়াতও এই বিষয়ে আদালতে আবেদন করেন। 

আপিল বিভাগ বলেন, এই মামলার সঙ্গে পঞ্চদশ সংশোধনীর মামলার কোনো সম্পর্ক আছে কিনা। এ সময় আপিল বিভাগ আরও বলেন, ১৯ জানুয়ারি এর শুনানি হবে। ওদিন সময় চাইলেও আর দেয়া হবে না। 

এর আগে ২৩ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি রিভিউ আবেদন দায়ের করে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে রিভিউ আবেদন দায়ের করেছেন সেক্রেটারী জেনারেল জনাব অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির। আগামীকাল বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের এটির শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

এর আগে গত ১৬ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এদিকে গত আগস্ট মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার পৃথক রিভিউ আবেদন দায়ের করেন।

২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে পরবর্তী দশম ও ১১তম নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আদালত। রায়ে বলা হয় এক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে সংসদে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মানসিক অসুস্থতার কথা প্রকাশ করলেন মাহিরা Dec 03, 2025
img
পুঁজিবাজারে নতুন ৫ হাজার কোটি টাকার ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু Dec 03, 2025
img
দেশের স্বার্থে তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়া জরুরি : রুমিন ফারহানা Dec 03, 2025
img
তারেক রহমান দেশে না আসতে পারলে লাভ হচ্ছে জামায়াতের : শরীফুজ্জামান শরীফ Dec 03, 2025
img
টিউলিপ সিদ্দিকের বিচার ও দণ্ডাদেশ নিয়ে দুদকের প্রতিক্রিয়া Dec 03, 2025
img
বন্যাকবলিত শ্রীলঙ্কায় মেয়াদোত্তীর্ণ ত্রাণ পাঠিয়ে বিতর্কে পাকিস্তান Dec 03, 2025
img
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিজয় গ্রেপ্তার Dec 03, 2025
img
৫-০ গোলে পর্তুগালকে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রাজিল Dec 03, 2025
img

নারী নেশনস লিগ

জার্মানিকে হারিয়ে শিরোপা স্পেনের Dec 03, 2025
img
ডিস্কোর ঝলমলে সাজে নতুন রূপে কেয়া পায়েল Dec 03, 2025
img
ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হবে উৎসবমুখর : প্রধান উপদেষ্টা Dec 03, 2025
img
কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা, বাড়বে ঠাণ্ডা Dec 03, 2025
img
বেগম জিয়ার অসুস্থতা শেখ হাসিনার কারণে : রিজভী Dec 03, 2025
img
১৯ দেশের নাগরিকদের গ্রিনকার্ড-নাগরিকত্ব দেওয়া বন্ধ করলো যুক্তরাষ্ট্র Dec 03, 2025
img
নির্বাচনী প্রচারণায় ১ দিনে হাসনাতের ১৮টি স্থানে পদযাত্রা Dec 03, 2025
img
মোদির চা বিক্রির এআই ভিডিও, রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় Dec 03, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারের শপথের বৈধতা নিয়ে লিভ টু আপিলের আদেশ বৃহস্পতিবার Dec 03, 2025
img
খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক সংগ্রামের অনুপ্রেরণা : মির্জা মোস্তফা Dec 03, 2025
img
দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.১ ডিগ্রি Dec 03, 2025
img
স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য গণমাধ্যমের বিকল্প নেই : ইসি কমিশনার সানাউল্লাহ Dec 03, 2025