ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে:বিবিএস

বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় খাদ্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকায় ডিসেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ, যা নভেম্বরে ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। এছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৬ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

এ ছাড়া মূল্যস্ফীতির রাশ টেনে ধরতে সরকার আমদানি করা পণ্যের দাম কমাতে বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক ও অন্যান্য কর তুলে নিয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নীতি সুদের হারও। ফলে বাজারে পণ্যমূল্যে এসব পদক্ষেপের কিছুটা প্রভাব দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, খাদ্যপণ্যের মূল্য কমে যাওয়ায় দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিও ডিসেম্বরে কিছুটা কমেছে। ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা নভেম্বরে ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এর মানে হলো, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে ১১০ টাকা ৮৯ পয়সা।

তবে শহর এলাকার চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার এখনও বেশি। ডিসেম্বরে গ্রামীণ পর্যায়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১১.০৯%, যা নভেম্বরে ১১.৫৩% ছিল। আর শহর এলাকায় নভেম্বরের ১১.৩৭% থেকে কমে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০.৮৪%।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বিদায়ী ২০২৪ সালের সর্বশেষ মাসের মূল্যস্ফীতি তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। তার আগের বছরে, অর্থাৎ ২০২৩ সালে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৪৮।

এর আগে গত জুলাইয়ের পর থেকে অক্টোবরের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল সর্বোচ্চ। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনের কারণে দেশের সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটে ১৪.১০%-এ পৌঁছায় মূল্যস্ফীতি। একইসঙ্গে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।

বিবিএস জানিয়েছে, নভেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ওই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। ফলে নভেম্বরের তুলনায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও টানা ৯ মাস ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে রয়েছে। মূল্যস্ফীতির এই দুই হার এখনো দুই অঙ্কের ঘরে থাকার মানে হলো, নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমজনগণ পার্টির আহ্বায়কের Dec 27, 2025
img
বরিশাল অঞ্চলের ৩ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল Dec 27, 2025
img
আগুন দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ভারতীয় তরুণ গ্রেপ্তার Dec 27, 2025
img
১৭ বছর পর শ্বশুরবাড়ি ‘মাহবুব ভবন’-এ তারেক রহমান Dec 27, 2025
img
ভারত বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছে : দুলু Dec 27, 2025
img
গাইবান্ধায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ফেমাস গ্রেপ্তার Dec 27, 2025
img
আসরের মাঝপথে মুস্তাফিজের বদলি নিলো দুবাই ক্যাপিটালস Dec 27, 2025
img
বিগব্যাশের ইঞ্জুরিতে ডেভিডের বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে শঙ্কা Dec 27, 2025
img
মায়ের সুস্থতার জন্য দোয়া চাইলেন সুনেরাহ Dec 27, 2025
img
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হলে নির্বাচন থেকে সরে আসতে পারে জাতীয় পার্টি: শামীম হায়দার Dec 27, 2025
img
বাস্তবেই খলনায়কের কাঠগড়ায় আল্লু অর্জুন Dec 27, 2025
img
জন্মদিনে মুক্তি পেল সালমান খানের নতুন সিনেমার টিজার Dec 27, 2025
img
কুমিল্লা-৭ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে কাফন মিছিল Dec 27, 2025
img
নিজের কনডমের ফ্যাক্টরি ঘুরিয়ে দেখালেন তানিয়া Dec 27, 2025
img
মাঠ থেকেই জাকিকে বিদায় দিলো বিসিবি Dec 27, 2025
img
গুলশানের ঠিকানায় ভোটার হলেন তারেক রহমান ও জাইমা রহমান Dec 27, 2025
img
পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন ছাড়াল ৮ লাখ Dec 27, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে শীতকালীন ঝড়ে বাতিল দেড় হাজারের বেশি ফ্লাইট Dec 27, 2025
img
হার্মিসন-অ্যান্ডারসনদের ব্যর্থতা, দ্বিতীয় ম্যাচেই টাংয়ের সাফল্য Dec 27, 2025
img
ফেসবুকে আক্ষেপ করে নির্বাচন-রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা বিএনপি নেতার Dec 27, 2025