গাজায় একদিনে নিহত আরও ৭০ ফিলিস্তিনি, প্রাণহানি ছাড়াল ৪৬ হাজার

ইসরায়েলি বর্বরতার আরও একটি দিন পার হলো ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায়। সবশেষ একদিনে আরও ৭০ ফিলিস্তিনির প্রাণ ঝরেছে দখলদার বাহিনীর হামলায়। এ নিয়ে গত ১৫ মাস ধরে অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রাণহানির সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
 
হামাস উৎখাতের নামে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা-অভিযানে উপত্যকাটিতে আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। সবশেষ হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০৪ জন।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ হাজার ৬ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের এই লাগাতার হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ৯ হাজার ৩৭৮ মানুষ আহত হয়েছেন গত ১৫ মাসে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের ধারণা অনুযায়ী, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়িঘর ও স্থাপনার ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব পাস সত্ত্বেও অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে প্রতিশোধের নামে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত ১৫ মাসের এ নির্বিচার হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ ভূখণ্ডটিতে হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে ইতোমধ্যে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে আছেন গাজার প্রত্যেক বাসিন্দা।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মিটফোর্ডে হত্যার ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 12, 2025
img
ধাড়াক ২ ট্রেলারে নজর কাড়লেন সিদ্ধান্ত ও তৃপ্তি Jul 12, 2025
img
'জবাবদিহিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি', সায়মা ওয়াজেদকে বাধ্যতামূলক ছুটি নিয়ে প্রেস সচিব Jul 12, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার আভাস Jul 12, 2025
img
‘বাহুবলী ৩’ কি আসবে? দশ বছর পরেও প্রশ্ন অনড় Jul 12, 2025
img
‘সরকার বরাবরের মতোই নীরব’, মিটফোর্ডের ঘটনায় বাঁধন Jul 12, 2025
img
মিটফোর্ডের ঘটনায় আরও একজনসহ মোট গ্রেফতার ৫ Jul 12, 2025
img
কেবল পর্দার সামনে নয়, ক্যামেরার পেছনেও আসছেন এই অভিনেতারা Jul 12, 2025
তোমরা তো ১৩ মাসের নেতা; মুখ খুললেন সাংবাদিক নেতারা! Jul 12, 2025
img
'তারেক রহমানকে নিয়ে রাজপথে যে অশ্লীল অশ্রাব্য স্লোগান দেয়া হচ্ছে তার পরিণতি ভালো হবে না' Jul 12, 2025
img
নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতায় আসমান জমিন ফারাক: রিফাত রশিদ Jul 12, 2025
img
শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিলেও ফিনিশিংয়ে ভরসা পাচ্ছেন না কোচ Jul 12, 2025
img
কুবি শিক্ষার্থীদের ৩টি বাস উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ Jul 12, 2025
img
ফেনীর বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম Jul 12, 2025
img
মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের ‘শান্তির তত্ত্ব’ ভেস্তে গেছে: ইরান Jul 12, 2025
img
আবারও একসঙ্গে রাজ–মন্দিরা, আসছে ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ Jul 12, 2025
img
জোতাকে সম্মান জানিয়ে চিরতরে অবসরে লিভারপুলের ২০ নম্বর জার্সি Jul 12, 2025
img
পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে: আসিফ নজরুল Jul 12, 2025
img
অনুমতি ছাড়া মাছ ধরায় সৌদিতে বাংলাদেশি আটক Jul 12, 2025
img
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ১ বাংলাদেশি Jul 12, 2025