ব্যাংকে স্থায়ী আমানত রেখে বিপদে চট্টগ্রাম বন্দর

স্থায়ী আমানত ১৩শ কোটি টাকা তুলতে হিমশিম খাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। বিভিন্ন ব্যাংকে রাখা এই টাকার ভবিষ্যৎ ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বারবার চিঠি দেয়া সত্ত্বেও টাকা ফেরতে ব্যাংকগুলোর আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, মোট আয়ের ৫০ শতাংশ সরকারি ব্যাংকে ও বাকি ৫০ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে রাখতে হয়। সেই অনুযায়ী বেসরকারি ব্যাংকে রাখা ১৩০০ কোটি টাকা নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। দুর্বল ব্যাংকগুলো স্থায়ী আমানতের টাকা এখন আর ফেরত দিতে পারছে না।

ডিসেম্বরের মধ্যে সব টাকা ফেরত পাওয়ার কথা থাকলেও পাওয়া গেছে মাত্র ১৮ কোটি টাকা, তাও আবার একটি ব্যাংক থেকে। চট্টগ্রাম বন্দরের হিসাব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এস আলমের মালিকানাধীন চারটি ব্যাংকে ৯২৭ কোটিসহ স্থায়ী আমানত হিসাবে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখায় অন্তত ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা আটকে আছে। ২০২৪ এর সেপ্টেম্বর মাস থেকে চিঠি দেয়ার পাশাপাশি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথেও বৈঠক করে ওই স্থায়ী আমানত নগদায়নের অনুরোধ জানিয়ে আসছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

টাকা ফেরত পাওয়ার সহযোগিতা চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠিও দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চাইলেও পরে সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। মূলত টাকা দিতে তারা গড়িমসি করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যেহেতু ব্যাংকগুলো গ্যারেন্টার, তাই তাদের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।

মূলত আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের কনটেইনার ও পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থাপনা ভাড়া দিয়ে বছরে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা আয় করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে নিজস্ব খরচ মিটিয়ে বছরে অন্তত ১ হাজার কোটি টাকা জমা হিসাবে থাকছে। আর এই টাকা নিয়েই জটিলতা চলছে। তবে, এসব দুর্বল ব্যাংকে শত শত কোটি টাকা জামানত হিসেবে রাখা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

টিএ/

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড Dec 12, 2025
img
রাখাইনে হাসপাতালে জান্তার বিমান হামলা, নিহত বেড়ে ৩৪ Dec 12, 2025
img
ইউক্রেনে ‘স্পেশাল ইকোনমিক জোন’ চায় যুক্তরাষ্ট্র: জেলেনস্কি Dec 12, 2025
img
আজ থেকে মাঠে নামছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা Dec 12, 2025
img
বিশ্ববাজারে আরও বাড়ল স্বর্ণের দাম, রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে রুপাও Dec 12, 2025
img
আমাদের প্রেম সত্যিই ছিল: হেমা মালিনী Dec 12, 2025
img
তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে গোপালগঞ্জে আনন্দ মিছিল Dec 12, 2025
img
১২ ডিসেম্বর: ইতিহাসের এইদিনের আলোচিত সকল ঘটনা Dec 12, 2025
img
সৌদি আরবে পুরস্কার পেলেন আলিয়া ভাট Dec 12, 2025
img
আসল খেজুরের গুড় চেনার সহজ উপায় Dec 12, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে যেতে জমা দিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া ইতিহাস! Dec 12, 2025
img
বিদেশিদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেবে এমন কাউকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না: নার্গিস বেগম Dec 12, 2025
img
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তন চেয়ে মশাল মিছিল Dec 12, 2025
img
তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে বরিশালে জামায়াতের মিছিল Dec 12, 2025
থাই–কম্বোডিয়া উত্তেজনা, ট্রাম্প কি আবার শান্তি আনতে পারবেন? Dec 12, 2025
বিক্ষোভের মুখে বুলগেরিয়ার সরকার পতন Dec 12, 2025
ভোটার তালিকা সংশোধনী নিয়ে বিজেপির উদ্দেশ্যে কঠোর বার্তা মমতা ব্যানার্জির Dec 12, 2025
সাবেক দুই উপদেষ্টার বিচার দাবিতে যা বললেন তৃণমূল এনসিপির নেতা Dec 12, 2025
আফগান সন্ত্রাস নিয়ে কঠোর পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র,ভিন্ন পথে ভারত Dec 12, 2025
img
বিচার চাই, আমি ফুটফুটে একটা সন্তান হারিয়েছি: ছোট্ট সাজিদের বাবা Dec 12, 2025