জামায়াতের ঘাড়ে জুলুমের পর্বত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল: জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বিগত সময়ে জামায়াতে ইসলামীর ঘাড়ে জুলুমের পর্বত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জাতির এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। কেউ যেন একই পথে ভবিষ্যতে পা না বাড়ায়।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের সাবেক সেক্রেটারি ও সাবেক এমপি হাফেজা আসমা খাতুনের স্মরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, বিগত সরকারের সময়ে পরিস্থিতি এতোটাই ভয়াবহ ছিল যে, অনেকে নিজের মা-বাবার জানাজার নামাজেও অংশ নিতে পারেননি। যে ফ্যাসিবাদী আমল বাংলাদেশের মানুষদের জন্য দুঃস্বপ্ন ছিল তা যেন আর কখনও কাউকে প্রত্যক্ষ করতে না হয়। এ জন্য কাজ করবে জামায়াতে ইসলামী।
এ সময় হঠকারিতা ও ফ্যাসিবাদ কারও জন্য কল্যাণকর নয় বলেও মন্তব্য করেন ডা. শফিকুর রহমান।

অনুষ্ঠানে সাবেক মহিলা এমপি হাফেজা আসমা খাতুনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আসমা খাতুন একজন ভালো নারী ছিলেন এবং পুরুষদের থেকেও ভালো সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

শফিকুর রহমান আরও বলেন, গোটা বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী ছিল হাফেজা আসমা খাতুনের পরিবার। জামায়াতের ৪৩ হাজার নারী রুকন তাকে হৃদয়ে ধারণ করেন। বাংলাদেশের নারী রাজনীতিবিদদের পথিকৃৎ এবং নারী জাগরণের আদর্শ তিনি।

স্মরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক গোলাম পরওয়ারও বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংসদীয় ইতিহাসের উজ্জ্বল অংশ হাফেজা আসমা খাতুন দেশের নারী সমাজে জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

অনুষ্ঠান শেষে আসমা খাতুনের জন্য দোয়া করা হয়।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কুয়েতে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতারা Sep 15, 2025
img
আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক Sep 15, 2025
img
বিভিন্ন দূতাবাসে বদলি প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা Sep 15, 2025
img
পিআরের দাবি জানিয়ে নির্বাচন নিয়ে সংশয় তৈরি করা হচ্ছে : আশরাফ উদ্দিন Sep 15, 2025
img
ড. ইউনূসের ডানে-বাঁয়ে গণ্ডগোল, কথার ফুলঝুরি চলছে না : রনি Sep 15, 2025
img
দাবি না মানলে এশিয়া কাপ ছাড়ার কড়া বার্তা পিসিবির! Sep 15, 2025
img
জুলাই সনদ নিয়ে চূড়ান্ত মতামত দেবে বিএনপি, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত Sep 15, 2025
img
জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে সিঙ্গাপুর হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ Sep 15, 2025
img
সংবাদমাধ্যমের নাটকীয় শিরোনামে বিরক্ত স্বস্তিকা মুখার্জী Sep 15, 2025
img
বিপিএলের আগে এনসিএলের আয়োজন নিয়ে আশরাফুলের বার্তা Sep 15, 2025
img
নেপাল : কারাগার থেকে পালানো ৩ হাজার ৭ শতাধিক কয়েদি ফের গ্রেপ্তার Sep 15, 2025
img
আজ থেকে শুরু হলো বিসিবির লেভেল-৩ কোচিং কোর্স Sep 15, 2025
img
বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায় ইইউ! Sep 15, 2025
img
নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার Sep 15, 2025
img
২৩ বছরে পা দিলো আরাভ, ছেলেকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা অক্ষয় কুমারের Sep 15, 2025
img
পরিবেশ দূষণরোধে প্লাস্টিক বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করতে হবে : চসিক মেয়র Sep 15, 2025
img
প্রথমবার ঢাকায় আসছেন অভিনেত্রী হানিয়া আমির! Sep 15, 2025
img
হেফাজত আমিরের বক্তব্যে জামায়াতের প্রতিবাদ Sep 15, 2025
img
ঢাকা বিভাগের কাউন্সিলরশিপ গ্রহণ করলেন বুলবুল Sep 15, 2025
img
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৫৬১ Sep 15, 2025