রমজানের পণ্য খালাসে ধীরগতি, দাম বাড়ার আশঙ্কা

আসন্ন রমজান ঘিরে কয়েক লাখ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি খালাসে দেখা দিয়েছে ধীরগতি। এ অবস্থায় নদী ও সাগরে ভাসমান গুদাম হিসেবে ব্যবহার হওয়া পণ্যবোঝাই লাইটারেজ জাহাজগুলোর বিরুদ্ধে অভিযানে নামার ঘোষণা দিয়েছে নৌপরিবহন অধিদফতর।

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ৪৫ থেকে ৪৭টি মাদার ভ্যাসেল পণ্য খালাসের অপেক্ষায় থাকলেও তার বিপরীতে লাইটারেজ জাহাজ বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ৪৭টি। অথচ আমদানি করা পণ্য দ্রুত বাজারে পৌঁছাতে প্রতিদিন ১০০টির বেশি লাইটারেজ জাহাজ প্রয়োজন। কিন্তু নানা জটিলতার মুখে বর্তমানে মারাত্মক লাইটারেজ জাহাজের সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, বর্তমানে লাইটারেজ জাহাজের মারাত্মক সংকট রয়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া।

চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন নৌরুটে চলাচলের জন্য প্রায় দেড় হাজার লাইটারেজ জাহাজ রয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন পণ্য পরিবহনের জন্য সাড়ে পাঁচশ টাকা ভাড়া আদায় করে লাইটারেজ জাহাজ মালিক।

অবশ্য বড় বড় শিল্পগ্রুপগুলোর নিজস্ব লাইটারেজ সিস্টেম রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে থাকা মাদার ভ্যাসেল থেকে প্রথমে পণ্য খালাস করা হয় লাইটারেজ জাহাজে। এরপর লাইটারেজ জাহাজগুলো পণ্য ডেলিভারি দেয় বিভিন্ন নদী বন্দর ও ঘাটে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে লাইটারেজ জাহাজগুলো নদী ও সাগরে ভাসমান গুদাম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।

স্ক্র্যাপ লোহা-সার-কয়লা-সিমেন্ট ক্লিংকার-পাথর ছাড়াও ভোগ্যপণ্য চিনি-চাল-ছোলা-গম-ডাল পরিবহনে ব্যবহার হয় এসব লাইটারেজ জাহাজ।

কিন্তু, ভোগ্যপণ্য বোঝাই লাইটারেজ জাহাজগুলো খালাস শেষে ফিরে না আসায় মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য খালাসে ধীরগতি নেমে এসেছে। কে কে শিপিং লাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, জাহাজগুলো দ্রুত খালি করে দিতে হবে। এতে বাঁচবে সময় ও অর্থ।

ফলে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা গুনতে হচ্ছে জাহাজগুলোকে। সামুদা শিপিং লাইন্সের চেয়ারম্যান শফিক আহমেদ বলেন, জাহাজগুলো দ্রুত খালি করে দিলে চট্টগ্রাম বন্দরে মাদার ভ্যাসেলগুলোকে ডেমারেজ দিতে হবে না। এতে বাঁচবে বৈদেশিক মুদ্রা।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে অব্যাহতি : ট্রাম্পের আদেশ বাতিল করলেন আদালত Sep 16, 2025
img
ভাঙ্গার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে : ডিআইজি রেজাউল করিম Sep 16, 2025
img

এশিয়া কাপ ২০২৫

বাংলাদেশের টিকে থাকার লড়াই আজ Sep 16, 2025
img
সাক্ষ্য দিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান Sep 16, 2025
img
দুপুরে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে আসবেন নাহিদ ইসলাম Sep 16, 2025
img
জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের মতবিনিময় Sep 16, 2025
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ইসলামের অবস্থান | ইসলামিক জ্ঞান Sep 16, 2025
"আ:লীগ ও বিএনপিকে আগামী দিনের বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায় না" Sep 16, 2025
img
তিস্তা প্রকল্প যাচাইয়ে বাংলাদেশে আসছে চীনের বিশেষজ্ঞ দল: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ Sep 16, 2025
img
ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কাতারের পাশে ইসলামি বিশ্ব: এরদোয়ান Sep 16, 2025
img
পোশাক নিয়ে কাউকে হেয় করা চলবে না : সাদিক কায়েম Sep 16, 2025
img
ভাঙ্গার সীমানা ইস্যুতে ইসিতে ডিসির চিঠি Sep 16, 2025
img
বাগেরহাটে হরতাল প্রত্যাহার করে ইসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান Sep 16, 2025
img
‘শত্রুতা’ ভুলে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করল তৃণমূল Sep 16, 2025
img
নগদ নির্ভরতা কমাতে আসছে অভিন্ন লেনদেন ব্যবস্থা Sep 16, 2025
img
৪১% মাশুল বাড়ল চট্টগ্রাম বন্দরে Sep 16, 2025
img
ন্যায়ভিত্তিক শাসনে না ফিরলে মবের মূলক শব্দটি বাস্তবে স্থায়ী হবে: জিল্লুর রহমান Sep 16, 2025
img
নির্বাচনে গ্রুপিং নিয়ে বুলবুলের মন্তব্য Sep 16, 2025
img
শুধু কথা দিয়ে ইসরায়েলি বর্বরতা থামবে না : পেজেশকিয়ান Sep 16, 2025
img
রশিদ খানরা এগিয়ে, তবুও রিশাদে ভরসা রাখছেন মুশতাক Sep 16, 2025