‘ক্ষুদ্র পরিসরে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে উত্তর কোরিয়া’

উত্তর কোরিয়া ছোট পরিসরের একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলের হোদো উপদ্বীপ থেকে এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর যৌথ প্রধানদের বরাত দিয়ে জানানো হয়।

পিয়ংইয়ং গত মাসে এক বিবৃতিতে এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে ব্যবহার হওয়া অস্ত্রকে নতুন 'ট্যাকটিকাল গাইডেড ওয়েপন' বা কৌশলগত নির্দেশিত অস্ত্র হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর এই প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করল উত্তর কোরিয়া।

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর যৌথ প্রধানরা এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তর কোরিয়া পূর্ব উপকূলের হোদো উপদ্বীপের ওনসান শহর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে একাধিক ছোট পরিসরের মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। মিসাইলটি ৭০ থেকে ২০০ কিলোমিটার (৪৫ থেকে ১২৫ মাইল) দূরত্ব অতিক্রম করে।

হোদো উপদ্বীপকে এর আগেও বড় পরিসরের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং ক্রুজ মিসাইল উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।

দেশটির সংবাদ মাধ্যম কেসিএনএ'র ভাষ্য অনুযায়ী এপ্রিল মাসে হওয়া এই কৌশলগতভাবে নির্দেশিত অস্ত্রের উৎক্ষেপন কিম জং উন নিজে তদারকি করেছেন।

পরীক্ষাতে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিবিধ পদ্ধতিতে মিসাইল ছোড়ার বিষয়টি যাচাই করা হয় বলে বিবৃতিতে বলা  হয়।

এই অস্ত্রটি ভূ-পৃষ্ঠ, সাগর এবং বায়ু তিন মাধ্যম থেকেই উৎক্ষেপণ করা সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন । অধিকাংশ পর্যবেক্ষক অস্ত্রটি মিসাইল কিনা তা নিয়ে এখনো সন্দেহ পোষণ করেছেন। তারা ধারনা করছেন এটি একটি ছোট পরিসরের অস্ত্র ছিল।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছিলেন, তারা পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে না এবং আন্তঃমহাদেশীয় ব্যলিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ বন্ধ করবে। এই ধরনের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কার্যক্রম চলছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়ার প্রধান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জায়গায় কাজ চলার আভাস পাওয়া গেছে গত মাসের স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া একটি ছবিতে।

দেশটি দাবি করছে, তারা এত ক্ষুদ্র নিউক্লিয়ার বোমা তৈরি করেছে যা দীর্ঘ পরিসরের মিসাইল বা ব্যলিস্টিক মিসাইলে করে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে সক্ষম।

টাইমস/এসআই