গাজীপুরের শ্রীপুরে আট বছরের শিশুকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে পুলিশ আরমান মিয়া নামে এক যুবককে আটক করেছে। এর আগে স্থানীয় লোকজন তাকে জঙ্গলের ভেতর থেকে ধরে এনে গণধোলাই দেয়।
শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার বরমী ইউনিয়নের দরগারচালা গ্রামের গভীর শাল বনের ভেতর এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ধর্ষক আরমান ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের শামসুল হকের ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের দরগারচালা গ্রামের মাঝেরটেক এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী শিশু একই এলাকার একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, শনিবার দুপুরের পর থেকে শিশুটিকে খোঁজাখুজি করছিলেন তার মা-বাবা। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে আশপাশে খোঁজ করতে থাকি। এক পর্যায়ে গভীর শাল বনের ভেতর শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পাই। এরপর বনের ভেতর গিয়ে শিশুসহ আরমানকে দেখতে পাই। এরপর শিশুর কাছে বিস্তারিত জেনে আরমানের মোবাইল ফোন উদ্ধার করে আপত্তিকর ভিডিও পাওয়া যায়। যা সে কয়েকজনকে পাঠিয়েছিল। এরপর স্থানীয়রা এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে ধর্ষককে গণধোলাই দিয়ে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন।
ধর্ষক আরমান ক্ষুব্ধ জনতাকে বলেন, “শিশুকে ধর্ষণের পর আমি নিজেই ভিডিও ধারণ করেছি। আমার কয়েকজন বন্ধুর ইমুতে ওই আপত্তিকর ভিডিও পাঠিয়েছি। আমাকে কয়েকজন মিলে ইয়াবা ট্যাবলেট সেবন করিয়েছে। এজন্য আমার মাথা ঠিক ছিল না।”
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাজারে মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার স্ত্রী একজন শারীরিক প্রতিবন্ধি। তিনি জানান, অভিযুক্ত যুবক আমার মেয়েকে বাড়ি থেকে পাশের একটি গভীর জঙ্গলে নিয়ে অমানুষিক অত্যাচার করে। মেয়ে কান্নাকাটি করলে আশপাশের মানুষ গিয়ে উদ্ধার করে।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম আকতার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত ধর্ষককে। মোবাইল ফোনে ধারণ করা কয়েকটি ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে মোবাইল ফোনও।