নির্বাচনকে প্রলম্বিত করতে পরিকল্পিতভাবে অপচেষ্টা চলছে : প্রিন্স

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, বিএনপি দ্রুত নির্বাচনসহ অতি প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং ফ্যাসিবাদের বিচার চায়। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পতনের ছয় মাস পরও সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচনের কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম নেই। প্রিন্স আরো বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পাশাপাশি রাজনীতিতে আসা নতুন বন্ধুদেরও জবাবদিহি করা প্রয়োজন, কারণ তারা সরকারে ছিল, আছে এবং সরকারের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ স্পষ্ট।

বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার কলিয়ানিকান্দা সদর ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, দেশ ও জাতি এক কঠিন সময় পার করছে। এই অবস্থায় সকলকে ধৈর্য ও সহনশীল আচরণ করতে হবে। দলের নাম ব্যবহার করে বা পতিত আওয়ামী লীগের কেউ যেন অসৎ বা উচ্ছৃঙ্খল কাজ না করতে পারে সেদিকে সকলকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, নির্বাচনকে প্রলম্বিত করতে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চলছে। নির্বাচন প্রলম্বিত হলে গণতন্ত্র সুদূর পরাহত হবে। তাই যেকোনো মূল্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে নির্বাচন আদায় করতে হবে।

কিন্তু নতুন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিচার ও সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামার কথা বলছেন। তাদের এই দুই দাবির সঙ্গে নির্বাচনের দাবি কেন নেই তা রহস্যজনক। তাহলে কী জনগণ ধরে নিবে যে নির্বাচন প্রলম্বিত করাই তাদের উদ্দেশ্যে? তাদের কারও কারও কণ্ঠে কর্তৃত্ববাদের সুর। এটা করলে ওটা হবে না, ওটা না করলে এটা হবে না- এ ধরনের কথা বা নিজেদের দাবি অন্যদের ওপর চাপিয়ে দিতে শর্ত আরোপ করা কর্তৃত্ববাদের নামান্তর।

তিনি আরও বলেন, অযৌক্তিক, অবাস্তব ও জনসম্পৃক্তহীন দাবি বা ইস্যু রহস্যজনক। নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার ছাড়া সংস্কার টেকসই হবে না এবং দেশে স্থিতিশীলতা ও স্বস্তি ফিরে আসবে না।

কলিয়ানিকান্দা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবু হাসনাত বদরুল কবিরের সভাপতিত্বে ইফতার-পূর্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন হালুয়াঘাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আশরাফ, কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম, আব্দুর রশীদ, হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

এ ছাড়াও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত বিজয় ফরাজীর বাবা সায়দুল ফরাজীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।


এমআর/টিএ

Share this news on: