বাংলাদেশে ভাঙার জন্য আনা জাহাজে নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ’ নীতির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির তেলমন্ত্রী এবং ১০টি ট্যাংকার জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। অভিযোগ, এই জাহাজগুলো অবৈধভাবে ইরানের তেল বিশ্বব্যাপী রপ্তানিতে সহায়তা করত।

তবে যুক্তরাষ্ট্র যে ১০টি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তার মধ্যে একটি জাহাজ বাংলাদেশে ভাঙার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। জাহাজটি ১৯৯৭ সালে তৈরি করা হয়। এটি কমরোসের পতাকা ও ‘ইতায়ুগুয়া’ নামে চলত। এটি ভেরি লার্জ (অনেক বড়) তেলবাহী জাহাজ। বর্তমানে জাহাজটি বাংলাদেশেই নোঙর করা আছে। তবে স্পেল্স নামের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে জাহাজটি এখন হয়ত আর ভাঙা হবে না।

এদিকে যেসব জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এগুলো ইরানের ‘ছায়া জাহাজ বহর’-এর অংশ। এই জাহাজগুলো দিয়ে বিশ্বব্যাপী ইরান তেল রপ্তানি করছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারি থেকে ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ নীতি অবলম্বন করেন। যারমধ্যে রয়েছে ইরানের তেল রপ্তানিকে শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা। যেন তেল বিক্রির অর্থ দিয়ে দেশটি নিজেদের পারমাণবিক শক্তিকে সমৃদ্ধ করতে না পারে।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের তেলমন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে বলেছে, “তিনি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মূল্যের তেল রপ্তানির বিষয়টি তত্ত্বাবধান করেছেন। এছাড়া ইরানি সশস্ত্র বাহিনীকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের তেল রপ্তানির জন্য দিয়েছেন।”

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় আও বলেছে, ইরান তেল বিক্রির এসব অর্থ দিয়ে সাধারণ মানুষের স্বার্থ বাদ দিয়ে সরকারি স্বার্থ রক্ষা করছে। কিন্তু তারা যেন এগুলো করতে না পারে সেজন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া যেসব জাহাজ ইরানি তেল রপ্তানির কাজে নিয়োজিত ছিল তাদের মালিক ও পরিচালনা প্রতিষ্ঠানকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। মার্কিনিদের দাবি, এই জাহাজগুলো চীনে তেল পাঠানোর কাজে জড়িত ছিল। যেগুলো ভারত ও চীনের একাধিক জায়গায় গেছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের সামরিক বাহিনী চীনে তেল পাঠাতে এসব ছায়া জাহাজের ওপর নির্ভরশীল।


এমআর/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নতুন মুখে সাজিদ আলীর ‘হীর রাঞ্জা’ Nov 14, 2025
img
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবারও রেললাইনে আগুন Nov 14, 2025
img
বরিশালে থেমে থাকা ট্রাকে দুর্বৃত্তদের আগুন Nov 14, 2025
img
একইদিনে গণভোট-জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা প্রত্যাহারের দাবি ৮ দলের Nov 14, 2025
img
বিমানবন্দর এলাকার ২ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ Nov 14, 2025
img
৭০ বছর পর নতুন নামে রিয়াল মাদ্রিদের ঐতিহ্যবাহী হোম ভেন্যু Nov 14, 2025
img
মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতার ভোটে শীর্ষে মিথিলা Nov 14, 2025
img
নিজেদের তৈরি প্রথম হাইব্রিড কার্গো বিমান উদ্বোধন করল আমিরাত Nov 14, 2025
img
রাজশাহীতে আ.লীগ ও যুবলীগের ৩ জনসহ গ্রেপ্তার ২৬ Nov 14, 2025
img
এস.এস. রাজামৌলির পরিচালনায় ‘গ্লোবট্রটার’ ছবিতে অভিনয় করছেন প্রিয়াঙ্কা Nov 14, 2025
img
মিরপুরে বাসে অগ্নিসংযোগের পর পালাতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু Nov 14, 2025
img
দক্ষিণ কোরিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি বাড়াতে চান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল Nov 14, 2025
img
গণভোট ও নির্বাচন একসঙ্গে হওয়া প্রসঙ্গের ব্যাখ্যা দিলেন মির্জা গালিব Nov 14, 2025
img
'যে সৎ কাজটা তোমাকে ভয় দেখায়, সেটাই করো' Nov 14, 2025
img
“যে বিষয়ে কিছুই জানি না, সেখানে যাব না। অন্তত লোক হাসাতে চাই না” Nov 14, 2025
img
কুমিল্লার দেবিদ্বার থেকেই নির্বাচন করব: হাসনাত আবদুল্লাহ Nov 14, 2025
img
নোয়াখালীতে জামায়াত প্রার্থীর গণসংযোগ, যুবদলের হামলার অভিযোগ Nov 14, 2025
img
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আটক Nov 14, 2025
img
আর্জেন্টিনার অনুশীলনে স্পেনে বিশাল জনসমাগম, মেসির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ Nov 14, 2025
img
ইমাম প্রশিক্ষণে সৌদি সরকারের সহায়তার আশ্বাস Nov 14, 2025