বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের বরাদ্দকৃত বাজেট দেশের জনগণের কল্যাণে পুরোপুরি কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘বাজেট ব্যবহারের সময় সকলকে দেশের জনগণের কল্যাণের কথা ভাবতে হবে এবং বরাদ্দ বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।’
সোমবার (২৪ মার্চ) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশ সচিবালয়ের অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাল্টিপারপাস হলে বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন সচিব ও সচিবদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা ইতোমধ্যেই দেশের বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক এবং বাণিজ্য সংস্থার সাথে প্রাক-বাজেট বৈঠক সম্পন্ন করেছেন।
বৈঠককালে সালেহউদ্দিন দেশে কর্পোরেট করের হার বেশি হওয়ায় পরবর্তী বাজেটে করপোরেট করের হার পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত দেন।
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি অনেক ক্ষেত্র ও ব্যক্তিদের কর ছাড়ের ওপর অনেক এসআরও বাতিল করেছি। কারণ পরবর্তী বাজেটে কর ব্যয় সুবিন্যস্ত করার জন্য এই ধরনের ছাড় আরো কমানো হবে। পরোক্ষ কর ধনী ও দরিদ্র উভয়কেই সমানভাবে প্রভাবিত করে। তাই, পরোক্ষ করের চেয়ে বেশি প্রত্যক্ষ কর আদায়ের ওপর জোর দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, অর্থবছর ২৬-এর পরবর্তী জাতীয় বাজেট যুক্তিসঙ্গত হবে, বাস্তবসম্মত হবে।
সালেহউদ্দিন আরও বলেন, পরবর্তী বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-তে স্থানীয় চাহিদা-ভিত্তিক প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী অর্থবছরের এডিপি’তে বাস্তববাদী ও স্থানীয় চাহিদাভিত্তিক প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পরবর্তী বাজেট কমবেশি যুক্তিসঙ্গত হবে।’
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অতীতের মতো নতুন এডিপি’তে কোটি কোটি ডলারের কোনো ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে না। কারণ এ ধরনের প্রকল্পগুলো জাতির জন্য ভালো ফলাফল বয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
এমআর/টিএ