বাংলাদেশে শান্তি অত্যন্ত জরুরি, এটা যেন মনে রাখি

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আজকের দিন আমরা প্রতিদিন স্মরণ করি। আমরা দেশে শান্তি চাই, যাতে মানুষ নিজ মনে নিজের আগ্রহে চলতে পারে। কারো ভয়ে, ভীত হয়ে তাকে চলতে না হয়। আমরা সবাই সবার মঙ্গল কামনা করি। আমরা জাতির জন্য শান্তি চাই এবং সারা পৃথিবীর জন্য শান্তি চাই।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজকের দিন আপন করে নেওয়ার দিন। আমরা সেই বাণী আমাদের মনে ধারণ করে প্রত্যেকেই যেন পরস্পরকে ধারণ করি, যত রকম দূরত্ব ছিল, সেই দূরত্ব থেকে আমরা সরে আসতে পারি। এতেই সমাজের মঙ্গল।

সোমবার বিকালে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঈদের বাণী হচ্ছে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা, অতীতকে পেছনে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। সমাজে এরকম একটা দিন আমরা স্থির করতে পেরেছি, আমাদের দিয়েছে, এটাই আমাদের জন্য একটা মস্তবড় আশীর্বাদ

ড. ইউনূস বলেন, আজকে ঈদের দিন আমরা সবাই একত্রিত হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। আমার অবস্থা এমন, কারও সঙ্গে দেখা করা কঠিন বিষয়। কাজেই আজকে এতজনের সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য পেয়ে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমরা আজকে ঈদের মহাউৎসব পালন করেছি।

ঈদের বাণী হচ্ছে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা, অতীতকে পেছনে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, সমাজে এরকম একটা দিন আমরা স্থির করতে পেরেছি, আমাদের দিয়েছে, এটাই আমাদের জন্য একটা মস্তবড় আশীর্বাদ। একটা দিন! এটা যেমন তেমন দিন না, যেমন তেমনভাবে দেখা করলে হয় না, কোলাকুলি করতে হয়। এটাই ধর্মের বিধান। আমরা কোলাকুলি করে সবাইকে আপন করে নেই।

তিনি বলেন, সমাজের মঙ্গল যেন আমরা আগ্রহ সহকারে নিজেদের মধ্যে আত্মস্থ করতে পারি। সেজন্য এবারের ঈদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আমরা পরস্পরের কাছে আসি, পরস্পরের দূরত্ব থেকে আমরা সরে আসতে পারি, চারিদিকে সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি। কারণ ঐক্যবদ্ধ হওয়া আমাদের জন্য, এই সময়ের জন্য বিশেষভাবে জরুরি।সেটা যেন আমরা অর্জন করতে পারি।

আজকের মিলনমেলায় সেই বাণী আত্মস্থ করে সামনের পথে অগ্রসর হবো, পরস্পরের প্রতি সহনশীল হবো, তার চাইতেও বেশি আমরা পরস্পরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করবো। এর মাধ্যমেই সমাজে শান্তি আসে। বাংলাদেশে শান্তি অত্যন্ত জরুরি। সেই কথা যেন আমরা মনে রাখি।

এমআর/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে Nov 13, 2025
img
আসন্ন সিনেমা 'কান্তা' নিয়ে দুলকার সালমানের খোলামেলা স্বীকারোক্তি Nov 13, 2025
img
গর্ভধারণের গুজব নিয়ে নতুন আলোচনায় সোনাক্ষী সিনহা Nov 13, 2025
img
ফুটবল-ক্রিকেটসহ পাঁচ খেলায় বাংলাদেশের ব্যস্ততম দিন আজ Nov 13, 2025
img
আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : ইউনূস Nov 13, 2025
img
নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করে দিতে বললেন ট্রাম্প Nov 13, 2025
img
অনীতের অভিনয়ের গভীরতা নিয়ে প্রশংসা করল আয়ুষ্মান খুরানা Nov 13, 2025
img
বরগুনায় জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগ Nov 13, 2025
img
ফিলিস্তিনিতে পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন করেছে জার্মানি Nov 13, 2025
img
অনুশীলনে ব্যস্ত রোহিত, বিজয় হজারের ধোঁয়াশা Nov 13, 2025
img
জয়কে প্রশংসায় ভাসালেন সাদমান Nov 13, 2025
img
শেখ হাসিনার রায় ঘিরে ট্রাইব্যুনালে কড়া নিরাপত্তা Nov 13, 2025
img
'দ্যা ব্যাটল অফ গালওয়ান' এ এবার নতুন রূপে হাজির হচ্ছেন সালমান খান Nov 13, 2025
img
জুলাই বিপ্লবকে স্বীকৃতি দেওয়া অস্বীকারটা করলো কে?: জিল্লুর রহমান Nov 13, 2025
img
সরকারে শাটডাউন অবসানে মার্কিন কংগ্রেসে বিল পাস Nov 13, 2025
img
শুভ জন্মদিন কথার জাদুকর Nov 13, 2025
img
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ শুরু হচ্ছে আজ Nov 13, 2025
img
দীর্ঘ আট মাস পর মসজিদুল হারামের ইমামতিতে ফিরলেন শাইখ ড. ফয়সাল Nov 13, 2025
img
নিখুঁত মুহূর্তের অপেক্ষা নয়, আজ থেকেই শুরু করুন : শেফালী শাহ Nov 13, 2025
img
বগুড়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ Nov 13, 2025