তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, গুমের সঙ্গে যারা জড়িত, বিভিন্ন বাহিনীর যেসব সদস্যরা জড়িত তাদের বিচার বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই হবে।
মঙ্গলবার (১িএপ্রিল) বিকেলে গুমের শিকার পরিবারদের সংগঠন 'মায়ের ডাক' আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
মাহফুজ আলম বলেন, 'গুমের সঙ্গে জড়িতে অনেকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে, অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান আছে। আইসিটি ট্রাইব্যুনালের তদন্ত চলমান আছে।'
'জড়িতদের সংখ্যাটা অনেক বড়। পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থাসহ তৎকালীন সরকারের রাষ্ট্রের সব সংগঠন ও অঙ্গকে এর (গুমের) সঙ্গে জড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের ওপর নিপীড়ন চালানো হয়েছে,' বলেন তিনি।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, 'এখানে আপনারা ২০-২৫ পরিবার এসেছেন। কিন্তু সংখ্যাটা আসলে হাজারের বেশি। অধিকাংশ ফ্যামিলি তাদের পরিবারের সদস্যকে খুঁজে পায়নি। গুম কমিশন বলেছে, অনেককে গুম করে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।'
'এখানে যারাই রাজনৈতিক বিরোধিতা করেছে, তাদেরকেই সন্ত্রাসী-জঙ্গি আরও অনেক ট্যাগ দিয়ে গুম করাটা স্বাভাবিক করে তোলা হয়েছিল। আমরা বলছি না যে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বা চরমপন্থার কোনো বাস্তবতা নেই। কিন্তু হাসিনা এটাকে পুরো বাংলাদেশের জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল,' যোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে মাহফুজ বলেন, 'আজকে ঈদ করছি একটা স্বাধীন দেশে, একটা মুক্ত পরিবেশে। এই মুক্ত পরিবেশে আপনাদের স্বজনরা যদি আপনাদের সঙ্গে থাকতেন তাহলে আমরা সবাই খুশি হতাম। গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের ক্ষেত্রে উনাদের উত্তরসূরী হিসেবে আমরা কাজ করেছি। তারা আমাদের পূর্বসূরী।'
'আওয়ামী লীগকে আমরা এই দেশে রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে দেবো না' মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের প্রজন্ম জানিয়ে দিয়েছে এখানে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনগণের শত্রু। এটা কোনো রাজনৈতিক দল না, এটা একটা মাফিয়া গোষ্ঠী, যার প্রধান ছিল শেখ হাসিনা। বাবার হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার নামে তিনি বাংলাদেশের জনগণের ওপর ভারতের সহযোগিতায় অত্যাচার-নিপীড়ন চাপিয়ে দিয়েছিলেন।'
এসএন