তিতাসে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল যুবকের, আটক ২

কুমিল্লার তিতাসে মো. রুবেল (২৮) নামের এক যুবক দুর্বৃত্তদের কুড়ালের আঘাতে নিহত হয়েছেন। হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ।

আজ শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের বড় গাজীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রুবেল বড় গাজীপুর এলাকার মৃত আলী মিয়ার ছেলে। তিনি বড় গাজীপুর বাস্তুহারা নামক একটি বস্তিতে বসবাস করতেন।

আটককৃতরা হলেন, একই এলাকার জয়নাল মিয়া (৫০) এবং তার ছেলে সুন্দর আলী (২৭)।
তিতাস থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় ৪০ বছর আগে গাজীপুর গ্রামের প্রয়াত বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বুলবুল একটি জায়গা দান করেন স্থানীয় বাস্তুহারা মানুষদের থাকার জন্য। ওই জায়গার নাম দেওয়া হয় গাজীপুর বাস্তুহারা। পরে সেখানে ২০টি ভূমিহীন পরিবার বসতি গড়েন। ওই বস্তিতে বসবাস করতেন মৃত আলী মিয়ার ছেলে রুবেল।

গত ৫ আগস্টের পর সেই বস্তিটি দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী। কিন্তু রোবেল তাদের প্রকাশ্যে বলে বেড়াতেন, “আমি রুবেল যতদিন বেঁচে থাকবো, ততদিন এই বস্তি দখল করতে দেব না।” স্থানীয় বাসিন্দাদের বলেন, হয়তো এসব কারণেই জীবন দিতে হয়েছে রুবেলকে।

একই এলাকার জয়নালের ছেলে সুন্দর আলীর সঙ্গে রুবেলের বন্ধুত্ব ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় সুন্দর আলী রুবেলকে খবর দিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান। এ সময় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে রুবেলকে হত্যা করা হয়।

নাম গোপন রাখার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা গণমাধ্যমকে বলেন, রুবেলের কারণে বস্তিটি দখল করতে পারেনি এতদিন। রুবেলকে পরিকল্পিতভাবে তার বন্ধুকে দিয়ে হত্যা করানো হতে পারে। সঠিক তদন্ত করলে পুরো বিষয়টি উঠে আসবে।

ওসি মামুনুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, রুবেলের সঙ্গে সুন্দর আলীর বন্ধুত্ব ছিল বলে জানতে পেরেছি। কী কারণে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে সেটির তদন্ত চলছে। আমরা সবগুলো মোটিভ বিশ্লেষণ করে তদন্ত চালাচ্ছি। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

আরএ/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
টাকার জন্য বিয়ে বাড়িতে নাচব না : রণবীর কাপুর Nov 23, 2025
img
জামায়াত প্রার্থীর অসুস্থ স্ত্রীর খোঁজ নিতে হাসপাতালে বিএনপি প্রার্থী Nov 23, 2025
img
মৌসুমের প্রথম মোহামেডান-আবাহনী দ্বৈরথ কুমিল্লায় Nov 23, 2025
img
গাইবান্ধায় কারাগারে প্রাণ গেল আ.লীগ নেতার Nov 23, 2025
img
ফাইনালে বাংলাদেশকে ১২৬ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান শাহিনস Nov 23, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসীদের অংশগ্রহণে ১৮ হাজার নিবন্ধন Nov 23, 2025
img
মাত্র ২৬ বছর বয়সেই অসমাপ্ত স্বপ্ন নিয়ে ঝরে যাওয়া তারকা নাফিসা Nov 23, 2025
img
ভূমিকম্প নিয়ে স্বস্তির বার্তা Nov 23, 2025
img
কোথায় আপনারা, পালিয়েছেন কেন? আ.লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে তানিয়া রব Nov 23, 2025
img
ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক হলেন কেএল রাহুল Nov 23, 2025
img
আগামীতে বাংলাদেশ-ভুটান সম্পর্ক আরও সুসংহত হবে : মির্জা ফখরুল Nov 23, 2025
img
খালেদা জিয়ার জন্য ফুল পাঠালেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী Nov 23, 2025
img
নীলা ইসরাফীলের পোস্টে ওসমান হাদির প্রতিক্রিয়া Nov 23, 2025
img
মির্জা ফখরুলের সমালোচনায় ক্ষুব্ধ মেয়ে শামারুহ Nov 23, 2025
img
দীপিকাকে সরিয়ে প্রভাসের নায়িকা তৃপ্তি Nov 23, 2025
img
তাইওয়ান নিয়ে জাপানের ভুল বার্তা দেয়া দু:খজনক: চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী Nov 23, 2025
img
জাপান অস্পর্শযোগ্য ‘লাল দাগ’ ছুঁয়ে ফেলছে : চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী Nov 23, 2025
img
এবার একদিনে এশিয়ার ৩ দেশে বড় ভূমিকম্প Nov 23, 2025
img
জামায়াতের ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করার খায়েশ মিটিয়ে দেবে জনগণ : এমরান সালেহ প্রিন্স Nov 23, 2025
img
বাংলাদেশে বাস করে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা কাম্য নয় : কাদের সিদ্দিকী Nov 23, 2025