ঈদে দাওয়াত দিয়ে ডেকে এনে জামাইকে গণধোলাই

বরগুনার পাথরঘাটায় জামাইকে শ্বশুরবাড়িতে ঈদের দাওয়াত দিয়ে এনে গণধোলাইয়ের অভিযোগে মেয়ের বাবা বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় জামাইসহ ২২ জন আহত হয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়ন সফিলপুর গ্রামের মুন্সি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সফিলপুর গ্রামের সত্তার মুন্সির মেয়ে মুক্তার শ্বশুরবাড়ির সবাইকে ঈদের দাওয়াত দিয়ে আনা হয়। দাওয়াতে খাবার পরিবেশনের সময় মাংস দিতে দেরি করায় তাদের দুইপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে শুরু হয় মারামারি। জামাইয়ের সঙ্গে আসা ২২ মেহমানকে বাড়িতে আটকিয়ে গণধোলাই দেন মেয়ের বাবা ও তার লোকজন। পরবর্তীতে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান জানান, সত্তার মুন্সির মেয়ের বিবাহ হয়েছে প্রায় ৩ বছর হলো। বিবাহের পর থেকেই মেয়ের সঙ্গে তার জামাইয়ের প্রায়ই দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত। এজন্য দীর্ঘদিন মেয়ে তার বাবার বাড়িতে ছিল। ঈদে জামাইকে দাওয়াত দিয়ে সবকিছু সমাধান করে দেবে সে কারণেই এই আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু মাংস দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।

জামাইয়ের বড় ভাই আরিফ জানান, আমাদের সাথে যা হয়েছে তা সত্যিই দুঃখজনক। আমরা এসেছিলাম দীর্ঘদিনের পারিবারিক কলহ সমাধান করার জন্য। কিন্তু দাওয়াত দিয়ে এনে এমন একটা কাজ করবে তা আমরা কখনো ভাবতেও পারিনি। আমরা বিষয়টি নিয়ে কোনো মামলায় যেতে চাই না। স্থানীয়ভাবে সমাধান করার চেষ্টা করতেছি।

পাথরঘাটা থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, এ ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে থানা থেকে একটি টিম সেখানে পাঠাই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তারা লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ করেনি। স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।

আরএ/টিএ

Share this news on: