নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে ৬০ লাখ ভোটার তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে, তবে একই সঙ্গে সাড়ে ২০ লাখ ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে।
সম্প্রতি মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্য একত্রিত করে প্রতিবেদন তৈরি করেছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি)। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত ৬০ লাখ ৮৩২ হাজার ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৮ লাখ ২৯ হাজার ২২৮ জন, নারী ভোটার ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৫৪৯ জন এবং হিজড়া ভোটার ১ হাজার ৫৫ জন। এদের মধ্যে ৪৯ লাখ ৯৫ হাজার ২৪ জনের নিবন্ধন ছবি তুলে এবং আঙুলের ছাপ দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া মৃত ভোটারদের মধ্যে ২০ লাখ ৫৩ হাজার ৫২৬ জনকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে, যার মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ ৮১ হাজার ২০৫ জন, নারী ৮ লাখ ৭১ হাজার ৭৫০ জন এবং হিজড়া ৫৭৩ জন রয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে যারা বাদ পড়েছেন তারা অনলাইনে ফরম পূরণ করে নিবন্ধনকেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হতে পারবেন।
ভোটার তালিকা হালনাগাদে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কিছু কাগজপত্র তথ্য সংগ্রহকারীদের দিতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে, ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি, জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি, নিকট আত্মীয়ের এনআইডির ফটোকপি (পিতা-মাতা, ভাই-বোন প্রভৃতি)। এ ছাড়া রয়েছে, এসএসসি/দাখিল/সমমান, অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি/চৌকিদারি রশিদের ফটোকপি)। ভোটার হওয়ার সময় কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে ইসি। নিজের নাম, বাবা-মার নাম, জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদের সঙ্গে হুবহু মিলিয়ে লিখতে হবে; জন্ম তারিখ অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী হতে হবে। স্থায়ী ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারের প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে; কোনো অবস্থাতেই দ্বৈত বা দুইবার ভোটার হওয়া যাবে না।
সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়াল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ চলমান রয়েছে। এতে আরো প্রায় ৬০ লাখের বেশি ভোটার আগামী জুনে তালিকায় যুক্ত করবে ইসি।
এসএস/এসএন