ফেনীতে এক থাইল্যান্ডের নাগরিক নারীকে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে মোখসুদুর রহমান (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৪ এপ্রিল) তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ফেনী আদালতে ধর্ষণের শিকার ওই নারীর জবানবন্দি রেকর্ড করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুজ্জামান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার নারী জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও বর্তমানে থাইল্যান্ডের নাগরিক। তিনি ২০২০ সাল থেকে হংকংয়ে একটি মুদির দোকানের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। সেখানেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় অভিযুক্ত মোখসুদুর রহমানের। পরিচয়ের পর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক, এরপর মোখসুদুর তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, প্রেম ও বিশ্বাসের জেরে ওই নারী মোখসুদুরকে ব্যবসা এবং বাংলাদেশে জমি কেনার জন্য ২ লাখ ১০ হাজার হংকং ডলার ও স্বর্ণালঙ্কার দেন। এক পর্যায়ে মোখসুদুর ভিসা জটিলতায় কারাগারে গেলে ওই নারী তার মুক্তির ব্যবস্থা করেন।
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরে যান মোখসুদুর। পরে ২০২৩ সালের ২২ মার্চ বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই নারীকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন তিনি। একইভাবে একই বছরের ১২ অক্টোবর ফের বাংলাদেশে এনে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী।
সবশেষ চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল ফের বাংলাদেশে এসে ফেনীর বাসায় গেলে অভিযুক্ত মোখসুদুর তাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেন। পরদিন নারী নিজেই বাদী হয়ে মোখসুদুর রহমানকে প্রধান আসামি করে এবং আরও দুইজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোখসুদুরকে গ্রেপ্তার করে।
এসএস/এসএন