গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা এসএম রুহুল আমিন মঞ্জুর বিরুদ্ধে আদালতের রায় নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। মামলার এক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী এখন প্রকাশ্যে দাবি করেছেন যে, তিনি আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর বাজারে ‘রুহুল আমিন মঞ্জু মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’ এর ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ তথ্য দেন সাক্ষী রেজাউন্নবী হাসু।
তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাকে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে প্ররোচিত করা হয়েছিল। চাপের মুখে পড়ে আমি সত্যের বিপরীতে অবস্থান নিতে বাধ্য হই। এছাড়াও আমাকে ঘরবাড়ি করে দেওয়ারও লোভ দেখানো হয়। একই সাথে জোরপূর্বক সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হয়েছে।
জানা গেছে, রুহুল আমিন মঞ্জু সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং ২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিক্ষোভে অংশ নেন রুহুল আমিন মঞ্জুর কানাডা প্রবাসী কন্যা জিনাইত আলম মনিহার। তিনি বলেন, আপনারা শুনেছেন, মামলার সাক্ষী নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ মামলার ভিত্তিতেই আমার বাবাকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা এই রায় প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
জিনাইত আলম মনিহার বলেন, আমার বাবার শেষ ইচ্ছা দেশের মাটিতে ফেরার। আমরা আশা করি, আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন। না হলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বিক্ষোভে বক্তব্য দেন মঞ্জুর বন্ধু সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মুন্না। তিনি অভিযোগ করেন, এই মামলাটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাজানো। বর্তমানে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা এর দ্রুত নিষ্পত্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে স্থানীয় বিএনপি, সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। কর্মসূচির শেষ দিকে তারা ধর্মপুর বাজারের সড়ক অবরোধ করলে এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
আরএ/টিএ