দেশের সব ক্ষেত্রে সংস্কারে বিএনপি কোনো না কোনোভাবে অবদান রেখেছে। এ মন্তব্য করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, আজ অনেকেই অনেক সংস্কারের কথা বলছেন, আমরা তাদের সমালোচনা করতে চাই না। কিন্তু একটি পার্থক্য আছে আমাদের সঙ্গে তাদের। আমাদের সংস্কার উপস্থাপনে ও তাদের সংস্কার উপস্থাপনের মধ্যে একটি পার্থক্য আছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সংস্কার উপস্থাপন কখন করেছিলাম। শুধু এইবারই না, বিএনপি দেশে সংস্কার শুরু করেছিল শহীদ জিয়ার সময় থেকে। বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সময় প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম থেকে সংসদীয় পদ্ধতি—এগুলো তো সংস্কারেরই অংশ। ধারাবাহিকভাবে আমরা সংস্কার করে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা বলব আমরা সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে একসঙ্গে সংস্কার কাজ চালাব। বিভিন্ন জনের হয়তো বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আছে। কিন্তু আমরা সকলের দাবিকে প্রাধান্য দিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে, থাকাটাই স্বাভাবিক। গণতন্ত্রে মতপার্থক্য থাকবেই। আমরা বসব, আলোচনা করব, আমরা সামনে এগিয়ে যাব। মনে রাখতে হবে কোনওভাবেই যেন মানুষের ভোটের অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার বাধাগ্রস্ত না হয়। কারণ, মানুষের ভোটের অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার যদি বাধাগ্রস্ত হয় তবে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।
তারেক রহমান বলেন, বিগত ১৫ বছরে জনগণের রাজনৈতিক অধিকার, ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তার ফলে আমরা দেখেছি দেশের বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে, অর্থনীতি ধ্বংস হয়েছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে, শিক্ষা ব্যবস্থা হয়েছে, সমাজে বিভিন্ন অধঃপতন শুরু হয়েছে।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ৩১ দফাকে গ্রামে-গঞ্জে পৌঁছে দিতে হবে। যারা বিএনপির আদর্শের রাজনীতি ধারণ করে, যারা ধারণ করে না সবার ঘরে ৩১ দফা পৌঁছে দিতে হবে। আমরা যতবেশি মানুষকে ৩১ দফার মধ্যে নিয়ে আসতে পারব তত বেশি আমরা দেশের চলমান সংস্কারকে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারব বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এসএম/টিএ