বিগত সাড়ে ১৫ বছরে বাংলাদেশের মাটিতে সবচাইতে বেশী রক্ত, সবচাইতে বেশী কুরবানী দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী, বলেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। জামায়াতে ইসলামীর তদানীন্তন আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসির মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। উপমহাদেশের বিখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর গোলাম আযমকে কারাগারে আটক রেখে হত্যা করা হয়েছে। বিশ্বনন্দিত মুফাসসীরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এত বড় ত্যাগ, এত বড় কুরবানী বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল অতীতে কোন দিন দেয়নি। সুতরাং জামায়াতের এই ত্যাগ এবং কুরবানীর কারণেই বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনতা আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে আগামী দিনে জামায়াতকে রাষ্ট্রক্ষমতায় নেয়ার লক্ষ্যে।
তিনি আরও বলেন, একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী যে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমীরে জামায়াত দীর্ঘ কারাবরণ করার পর মুক্ত পরিবেশে ফিরে এসে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলেই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য যে ডাক দিয়েছিলেন আজকে বাংলাদেশ মুক্ত পরিবেশে আসার পর তিনি তার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন।
আপনারা লক্ষ্য করছেন, টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া বাংলাদেশের এমন কোন জনপদ নেই যেই জনপদে আমীরে জামায়াতের পদধূলি পরে নাই।
আমরা ময়মনসিংহ বিভাগের জনশক্তিগণ উনাকে আরও আগেই আনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ আজকে অনেক শহীদের রক্তে রঞ্জিত শহীদ মঞ্জুরুল কবির, শহীদ কামরুল আহসান, শহীদ শওকত হোসেন তালুকদার, শহীদ আলাউদ্দিন, শহীদ কামারুজ্জামানের রক্তে রঞ্জিত বাংলাদেশে আমীরে জামায়াত আজকে আগমন করেছেন। উনার এই জনসভায় এই কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে আগামী দিনে আমরা দ্রুত এগিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশের এই অংশের ময়মনসিংহের পাঁচটি জেলায় আমরা আমাদের দাওয়াতী তৎপরতা ও সাংগঠনিক তৎপরতার মাধ্যমে আগামী দিনের পরিবর্তনের নেতৃত্বের অংশীদার হতে চাই। মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের সকল প্রচেষ্টা কবুল করুন।
আরএ/টিএ