জামায়াতে ইসলামীর প্রীতি সমাবেশে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মার উপস্থিতি নিয়ে বির্তক তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নানা মহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট করেন শিবিরের সাবেক সভাপতি এবং জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। তবে স্ট্যাটাসটি দেওয়ার কিছু সময় পরই সেটি ডিলিট করে দেন তিনি।
শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রেজাউল করিমের দেওয়া স্ট্যাটাসটি পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘সন্তোষ শর্মার সঙ্গে আমার কখনো দেখা হয়নি। সম্প্রতি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্ক চলছে। এরই মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসছে সন্তোষ শর্মার নানাবিধ বিতর্কিত ভূমিকা। বিশেষ করে এ দেশের শ্রদ্ধেয় আলিম-ওলামাদের ওপর নির্যাতনের ক্ষেত্রে তার সম্পৃক্ততার কথাও। কিন্তু ভালো হতো ক্ষতিগ্রস্তরা যদি আগেই তার ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন, তাহলে এরকম একজন ব্যক্তি হয়তো আমাদের প্রোগ্রামে আসার সুযোগও দিত না। আমরা আরও সতর্ক হতে পারতাম। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য আবারো দুঃখ প্রকাশ করছি।
আজকেও আমি লিখছি- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও নেতাকর্মীরা অকাতরে শাহাদাত বরণ করেছেন। তাই জামায়াত তার নীতি, আদর্শ ও ঐতিহ্যের সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ করেনি, করবে না ইনশাআল্লাহ। কোনো একটি বিষয় ও কোনো ব্যক্তির জামায়াতের মিটিংয়ে উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে আমাদের দীর্ঘ অবদান ও ভূমিকাকে খাটো করে দেখার সুযোগ আছে কি? শুধু আবেগ নয়, বাস্তবতার নিরিখে সমালোচনার অনুরোধ করছি। আসুন সব মজলুম জুলাই বিপ্লবে আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণেও এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ’।
এফপি/ এসএন