করমুক্ত আয় সীমা অপরিবর্তিত

২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে করমুক্ত আয় সীমা অপরিবর্তিত রয়েছে। অপরিবর্তিত থাকায় সাধারণ করদাতাদের আড়াই লাখ টাকা নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সী করদাতাদের ৩ লাখ টাকা এবং প্রতিবন্ধী করদাতাদের ক্ষেত্রে ৪ লাখ পর্যন্ত কর দিতে হবে না।

এ ছাড়া গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ৪ লাখ ২৫ হাজার পর্যন্ত কর দিতে হবে না।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

সাধারণ করদাতাদের ক্ষেত্রে আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকার পর প্রথম ৪ লাখ টাকার জন্য ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকার জন্য ১৫ শতাংশ, এর পরের ৬ লাখ টাকার জন্য ২০ শতাংশ,আর পরবর্তী ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ এবং অবশিষ্ট মোট আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সব প্রকার তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী ব্যবসা থেকে আয়ে কর ৪৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের মূল বাজেট ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী বাজেটের আকার সংশোধিত বাজেট থেকে ৮০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকার মতো বেশি।

নতুন বাজেটে ব্যয় মেটাতে সরকারি অনুদানসহ আয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এনবিআর–বহির্ভূত করব্যবস্থা থেকে আসবে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বিভিন্ন সেবামূলক থেকে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করে রাখা হয়েছে। বরাবরের মতো আগামী বাজেটের ঘাটতিও থাকছে জিডিপির ৫ শতাংশ। মোট ঘাটতি ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে যা ধরা হয় ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। সরকারের অর্থায়নে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা থেকে ঋণ ধরা হয়েছে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে যা আছে ৭১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা।

উন্নয়ন বাজেটের মোট আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা।

 

টাইমস/এএইচ/এসআই

Share this news on: