রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় এক রোহিঙ্গা নারীকে জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়ার অভিযোগে দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আবু বকর সিদ্দীককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে দেওয়া সাময়িক বরখাস্তের আদেশে উল্লেখ করা হয়, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আবু বকর সিদ্দীক ‘উম্মে কলিমা’ নামের এক রোহিঙ্গা নারীকে জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান করেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(৪)(খ)(ঘ) ধারায় সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে—কেন তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হবে না, সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপন পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রংপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে লিখিত জবাব দিতে হবে।
এর আগে, গত ১৭ এপ্রিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি শাখা-১-এর সিনিয়র সহকারী সচিব তৌহিদ এলাহী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আবু বকর সিদ্দীককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
এ বিষয়ে দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আবু বকর সিদ্দীক বলেন, আমি কোনো রোহিঙ্গা নারীকে জন্মনিবন্ধন সনদ দিইনি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, ২০২২ সালে ইউনিয়ন পরিষদের অফিসিয়াল কম্পিউটারে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বিষয়টি জানার পর আমি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।
বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা নারীর জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরির ঘটনায় দামোদরপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবু বকর সিদ্দীককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। আমরা এ সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এফপি/টিএ