ইয়েমেনে বোমাবর্ষণ বন্ধে ট্রাম্পের ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে বোমা হামলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গত মার্চের মাঝামাঝি থেকে হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে রাজধানী সানাসহ বিভিন্ন এলাকায় মার্কিন সেনারা হামলা চালিয়ে আসছিল।

হুথি যোদ্ধারা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে লোহিত সাগর ও বাব আল-মান্দাব প্রণালীতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজে হামলা চালাচ্ছিল। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র হুথিদের বিভিন্ন অবকাঠামোতে পাল্টা হামলা চালায়।

তবে হুথিরা এখন মার্কিন জাহাজে হামলা না চালানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ায়, যুক্তরাষ্ট্রও ইয়েমেনে হামলা বন্ধ রাখবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।

মঙ্গলবার (৬ মে) ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে তারা আর লড়াই করতে চায় না। আমরা তাদের এ প্রতিশ্রুতিকে সম্মান জানাব এবং বোমাবর্ষণ বন্ধ করব। হুথিরা আত্মসম্পর্ণ করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা তাদের প্রতিশ্রুতি বিবেচনায় নেব। হুথিরা জানিয়েছে, তারা আর জাহাজ ধ্বংস করবে না। আর আমরা এটির জন্যই বোমাবর্ষণ করছিলাম। আমি মনে করি এটি একটি ইতিবাচক বিষয়। তারা সমুদ্রে চলা অনেক জাহাজ উড়িয়ে দিচ্ছিল। যুক্তরাষ্ট্র হুথিদের ওপর এ মুহূর্ত থেকে বোমা হামলা বন্ধ করে দেবে।”

তবে হুথি বিদ্রোহীরা দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো বন্ধ করবে কি না সেটি স্পষ্ট করে কিছু জানাননি ট্রাম্প।

পরবর্তীতে ওমান জানায়, তাদের মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্র ও হুথিদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এবং হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনি অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের এ আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ কারও ওপর এবং লোহিত সাগর ও বাব-আল মান্দাব প্রণালীতে মার্কিন জাহাজের ওপর হামলা চালাবে না। এরমাধ্যমে জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক শিপিং সুন্দরভাবে হওয়া নিশ্চিত হয়েছে।”

এদিকে হুথিরা এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি। এর আগে গত পরশু দিন দখলদার ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে হুথিরা। এর জবাবে আজ ইয়েমেনের রাজধানী সানার প্রধান বিমানবন্দরটি পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল।

আরএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নিয়ম মেনে বহুতল ভবন নির্মাণ কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে : জামায়াত আমির Nov 21, 2025
img
ভূমিকম্পে নরসিংদীতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫, আহত ৭০ Nov 21, 2025
img
একসাথে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক Nov 21, 2025
img
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক ৪০ Nov 21, 2025
img
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো চিন্তার খোরাক তৈরির কারখানা : শিশির মনির Nov 21, 2025
সরবরাহ থাকলেও কমছে না সবজির দাম Nov 21, 2025
img
আমি যে দলটা করি সেটা হলো মুক্তিযোদ্ধার দল : ফজলুর রহমান Nov 21, 2025
img
দক্ষিণ আফ্রিকায় নারীর প্রতি সহিংসতাকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা সরকারের Nov 21, 2025
img
জানুয়ারিতে ঢাকায় আসছে বিশ্বকাপ ট্রফি Nov 21, 2025
img
টেস্ট ক্যারিয়ারে সাকিব আল হাসানকে ধরে ফেললেন তাইজুল ইসলাম Nov 21, 2025
img
অন্যান্য স্থানের মতো ভূমিকম্পে কাঁপল চট্টগ্রাম, ৭৫ শতাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ Nov 21, 2025
img
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে নির্বাচনের বিকল্প নেই : আমানউল্লাহ আমান Nov 21, 2025
img
পড়াশোনার জন্য ফুটবল ছাড়লেন ম্যান সিটি একাডেমির ফুটবলার! Nov 21, 2025
img
তারেক রহমান গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন: আইয়ুব খান Nov 21, 2025
img
ভারনাসি চলচ্চিত্র শিরোনাম নিয়ে বিতর্ক Nov 21, 2025
img
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে পতাকা বৈঠকের পর বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ Nov 21, 2025
img
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান শুরু ডিএনসিসির Nov 21, 2025
img
এক বছরের বেশি সময় পর দক্ষিণ আফ্রিকা দলে নর্কিয়া Nov 21, 2025
img
টনি বেইগকে ঘিরে জল্পনার মাঝেই নার্গিসের স্বীকারোক্তি Nov 21, 2025
img
সত্য-মিথ্যার সীমা মুছে দিচ্ছে প্রযুক্তি: কীর্তি সুরেশ Nov 21, 2025