সৌদি আরবে অবৈধভাবে দুই বাংলাদেশিকে সহায়তা করার অপরাধে এক সৌদি নারীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আদালত আদেশ দিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট দুই বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠাতে, এবং ভবিষ্যতে তাদের আর সৌদিতে কাজের অনুমতি দেওয়া হবে না।
৭ মে (বুধবার) সৌদি গ্যাজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ‘তাস্তুরি’—অর্থাৎ ভুয়া মালিকানার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ওই সৌদি নারী নিজের নামে একটি কোম্পানি খুলে দুই বাংলাদেশিকে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দিয়েছিলেন। তারা মূলত মক্কায় পরিবহন খাতে ব্যবসা করছিলেন এবং সেই আয়ের অংশ সৌদির বাইরে পাচার করছিলেন।
সৌদিতে যদি কোনো বিদেশি লাইসেন্সসহ ব্যবসা করতে চায় তাহলে তার কাছে কমপক্ষে ১০ লাখ রিয়াল থাকতে হবে। যদি কারও এ অর্থ দেওয়ার সামর্থ না থাকে তখন সৌদির কোনো নাগরিকের মাধ্যমে কোম্পানি খুলে বিদেশিরা ব্যবসা করেন। যা তাস্তুরি নামে পরিচিত। এ ধরনের সহায়তা সম্পূর্ণ বেআইনি।
সৌদি গ্যাজেট জানিয়েছে, সৌদির এ নারী ও বাংলাদেশিদের ১ লাখ ৫০ হাজার রিয়াল জরিমান করা হয়েছে। তাদের নাম ও ছবি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
মক্কার ফৌজদারি আদালত এ শাস্তি প্রদান করেছে। যা প্রকাশ করেছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আদালত তাদের ১ লাখ ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানা করার পাশাপাশি কোম্পানির নিবন্ধন বাতিল, লাইসেন্স স্থগিত, কোম্পানির সব কার্যক্রম এবং জাকাত, ফি ও ট্যাক্স নেওয়া বন্ধ করেছে। এছাড়া আদালত দুই বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো এবং সৌদিতে কাজের জন্য প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
তদন্তে পাওয়া গেছে, সৌদির এ নারী বাংলাদেশিদের পরিবহণ খাতে ব্যবসা করতে সহায়তা করেছেন। যারা বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যয়নপত্র নেননি। তিনি এ দুই বাংলাদেশিকে নিজেদের মতো কাজ করতে, অর্থ আয় করতে সহায়তা করেছেন। যেগুলো তারা সৌদির বাইরে পাঠিয়েছেন।
তদন্তে আরও পাওয়া গেছে, সৌদির এ নারী নিজের নামে লোন নিয়ে ট্যাংকার কিনেছেন। কিন্তু বাংলাদেশিরা এটি ব্যবহার করত। নিজেদের মালিকানাধীন বলে পরিচয় দিত এবং ট্যাংকার নিয়ে বাণিজ্যিক চুক্তি থেকে সবকিছু করত। সূত্র: সৌদি গ্যাজেট
আরএ/টিএ