মাথাপিছু আয়, গড় আয়ুসহ বিভিন্ন মাপকাঠিতে উন্নতির ফলে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন সূচকে (এইচডিআই) এক ধাপ এগোলো বাংলাদেশ। ১৯৩টি দেশকে নিয়ে করা সূচকে বাংলাদেশ লাভ করেছে ১৩০তম স্থান। এ সূচকে আইসল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।
গত মঙ্গলবার (৬ মে) প্রকাশিত ইউএনডিপির প্রতিবেদন অনুসারে, এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।
এ সূচকে এর আগের বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩১তম। বাংলাদেশের সূচকের মান ২০২২ সালে শূন্য দশমিক ৬৮০ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে শূন্য দশমিক ৬৮৫ হয়েছে।
২০২৩ সালের তথ্যের ভিত্তিতে ‘এ ম্যাটার অব চয়েস : পিপল অ্যান্ড পসিবিলিটিস ইন দ্য এজ অব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। মানুষের অগ্রগতি তুলে ধরতে জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও আয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে ইউএনডিপির মানব উন্নয়ন সূচক তৈরি করা হয়।
১৯৯০-২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের গড় বার্ষিক মানব উন্নয়ন সূচক বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের গড় আয়ু ৭৪ দশমিক ৭ বছর। নারীদের ৭৬ দশমিক ৪ বছর এবং পুরুষের ৭৩ বছর। স্কুলে পড়ার প্রত্যাশিত বছর ১২ দশমিক ৩ এবং গড় বছর ৬ দশমিক ৮। ক্রয়ক্ষমতা সমতা শর্তে মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় ৮ হাজার ৪৯৮ ডলার।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আয় বণ্টনে ক্রমাগত বৈষম্যও তুলে ধরা হয়েছে। জনসংখ্যার সবচেয়ে দরিদ্র ৪০ শতাংশের কাছে জাতীয় আয়ের মাত্র ২০ দশমিক ৪ শতাংশ রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে ধনী ১০ শতাংশ জাতীয় আয়ের ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। শীর্ষ ১ শতাংশ একাই মোট আয়ের ১৬ দশমিক ২ শতাংশের অধিকারী।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো মধ্যে ভারতের অবস্থান বাংলাদেশের মতোই ১৩০তম। তবে শ্রীলঙ্কার অবস্থান সবচেয়ে ভালো। দেশটি অবস্থান ৮৯তম। এ ছাড়া নেপাল ১৪৫তম এবং পাকিস্তানের অবস্থান ১৬৮তম।
ইউএনডিপি মানব উন্নয়ন সূচকে আইসল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ড শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। অন্যদিকে দক্ষিণ সুদানের অবস্থান সবার নিচে।
প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোকে মানব উন্নয়নের ভিত্তিতে ৪টি বিভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। এগুলো হলো অতি উচ্চ, উচ্চ, মাঝারি এবং নিম্ন। বাংলাদেশ মাঝারি মানব উন্নয়ন গ্রুপে রয়েছে।
আরআর/এসএন