১৮ কুকুর কামড়ে খেল মালিককে

ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের। অনেক দিন ধরে খোঁজ মিলছিল না টেক্সাসের বাসিন্দা ফ্রেডি ম্যাকের। সম্প্রতি তার খোঁজে নেমে পড়ে পুলিশ। একাই থাকতেন। সঙ্গী বলতে ছিল পোষ্য ১৮টি কুকুর। তদন্ত এগোতে জানা গেল, তার ‘খুনিরা’ রয়েছে বাড়িতেই। পোষ্য কুকুররাই খেয়ে ফেলেছে ফ্রেডিকে।

 ৫৭ বছর বয়সী ফ্রেডি ম্যাক

ভেনাস গ্রামে ফ্রেডি তার নিজের বাড়িতে থাকতেন। সর্বশেষ তাকে ৯ এপ্রিল দেখা গিয়েছিল। মে মাসে ফ্রেডির এক আত্মীয় পুলিশের কাছে জানান, গত কয়েক সপ্তাহ তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কিছু আত্মীয়স্বজনও ফ্রেডির বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার পোষা কুকুরগুলো এমন হিংস্র আচরণ করত যে, ভয়ে কেউ ঢুকতে পারতেন না সেখানে। শেষে ড্রোন উড়িয়ে প্রথমে তাদের গতিবিধি লক্ষ করা হয়। তারপর কোনও মতে তাদের নজর ঘুরিয়ে ফ্রেডির বাড়িতে ঢোকেন পুলিশ ও তার দলবল। কিন্তু তন্নতন্ন করে খুঁজেও বাড়ির কোথাও ফ্রেডির দেখা মেলেনি। এরপর হাসপাতাল, জেল, দূর সম্পর্কের আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ করেও ৫৭ বছর বয়সি ফ্রেডির সন্ধান মেলেনি।

এই বাড়িটিতেই ১৮টি কুকুর নিয়ে থাকতেন ফ্রেডি ম্যাক

বাড়িতে হাড়গোড়, জামাকাপড়ের ছেঁড়া টুকরো, জুতা ইত্যাদি পাওয়া যায়। তখনই সন্দেহ যায় কুকুরগুলোর দিকে। পরীক্ষা করে দেখা যায়, কাপড়ের টুকরো ফ্রেডির জামার। এরপরেই ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা যায় হাড়টি ফ্রেডির। কুকুরদের মল পরীক্ষা করে দেখতেই উত্তর হাতে। ১৮টি কুকুর মিলে খেয়েছে তাদের মালিককে। তবে তারা জ্যান্তই খেয়েছে, নাকি অসুস্থ ফ্রেডি মারা যাওয়ার পরে ওই কাণ্ড ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: