‘যাদের পিছনে একসময় ৭ লাখ মানুষ মিছিল করেছে, এখন তারা তিন দিন মাইকিং করলে ৭শ মানুষ আসে না, সেই এনসিপি সঙ্গে প্রথম মিটিং করেন ইউনূস সাহেব। আর সেই এনসিপির পেছনে যায় বিএনপি। আমি আমার নেতা তারেক রহমানকে-বিএনপিকে বলব, এনসিপি আগে রেজিস্ট্রেশন করে আসুক তারপর তাদের পাশে বসবে বিএনপি। তা নাহলে বিএনপির অপমান হয়।’ বলে মন্তব্য করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান।
বাংলাদেশের মানুষের অপমান হয়। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
ফজলুর রহমান বলেন, ৫ আগস্টের আগে আমরা মনে করছি এই ছাত্ররা বুঝি সবাই ফিডেল কাস্টো-চে গুয়েভেরা, আর এখন দেখা যায় তারা আঙুল ফুলে কলাগাছ, কলাগাছ ফুলে বটগাছ হয়েছে। যাদের বাড়িতে একটা ঘর নাই, দরজা নাই সেইসব ছেলেরা বিমানে চড়ে বাড়ি যায়। এগুলো আমরা দেখি না, দেশের মানুষ দেখে না?
তিনি বলেন, সমস্ত ছাত্ররা ইউএনও অফিসে গিয়ে, ডিসি অফিসে গিয়ে- বিভিন্ন অফিসে গিয়ে বসে থাকে। সচিবালয়ে গিয়ে বসে থাকে। ডিসিকে কিভাবে পরিবর্তন করা যায়। কাজ কিভাবে নেওয়া যায়, প্লট কিভাবে নেওয়া যায়।
এজন্য আমরা দেশকে সৃষ্টি করেছিলাম। আমার দেশের সমস্ত তারুণ্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
ফজলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশকে একটি চক্রান্তের মধ্যে ফেলে দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। এদেশকে একটি চক্রান্তের মধ্যে ফেলে দিয়ে এদেশের সমস্ত মানুষের মানবাধিকারকে হত্যা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, রক্তের সাগরে দেশ হয়েছে, এটাকে নিয়ে এতো খেলাধুলা করা উচিৎ না।
এখনো মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে আছে। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় তারা বড় পাপি; তারা রাজাকার-আলবদর ও তাদের সন্তান।
এসএম/টিএ