জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, ‘আমাদের দল সর্বাত্মকভাবে সমস্ত আন্দোলনে জনগণের সঙ্গে ছিল। শাপলা চত্বরের ঘটনায় আমরা সরাসরি সমর্থন দিয়েছিলাম এবং তাদের সঙ্গে, যারা হেফাজতের লোক ছিলেন তাদেরকে পানি খাইয়েছি, তাদের সঙ্গে ছিলাম।’একটি বেসরকারি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
এছাড়া, ‘জুলাই আন্দোলনের সময় প্রথম থেকে শেষ দিন পর্যন্ত সর্বাত্মকভাবে আমরা ছাত্রদের আন্দোলন সমর্থন করেছি’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার আমাদেরকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে, আমাদেরকে রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং উনার সঙ্গে যারা তরুণ নেতৃত্ব আছেন, তারা মিলে দেশকে সুস্পষ্টভাবে বিভক্ত করে ফেলেছেন এবং এই বিভক্তিটি দিনকে দিন খুব শক্তিশালী হচ্ছে এবং দেশে একজনের উপর আরেকজনের সরাসরি একটি সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে গেছে। সেটা সামনের দিকে বড় ধরনের একটা সংঘাতের দিকে যেতে পারে বলে আমি আশঙ্কা করছি।’
জিএম কাদের মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে’ এবং ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’―এই দুই শ্রেণির মানুষকে আলাদা বিবেচনা করে দেশকে দু’ভাগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় আইন তৈরি এবং সার্বিকভাবে আইনের যে প্রয়োগ করা হচ্ছে, এগুলোর ক্ষেত্রে দুটো ভাগের সঙ্গে দুটো ডিফারেন্স দেখা যাচ্ছে।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘একটা বৃহৎ অংশকে রাজনীতির অধিকার বঞ্চিত করা হচ্ছে এবং বঞ্চিত করতে গিয়ে তাদের স্বাভাবিক যে অন্যান্য কালাকানুন করে বিভিন্ন অত্যাচার, নিবর্তনমূলক ব্যবস্থা সৃষ্টি করে এবং আইনের মাধ্যমে মানুষকে অত্যাচারিত-নিপীড়িত করে তাদেরকে কোণঠাসা করা হচ্ছে।’
এমআর