সব দলই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়: ড. রেদোয়ান আহমেদ

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের সব দল নয়, মাত্র একটি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন চায় বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আমি বলবো, তার বক্তব্য সঠিক নয়। বাংলাদেশ একটি দল নয়, কমপক্ষে ২০টি নিবন্ধিত দলসহ প্রায় সব দলই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। এলডিপিসহ বিএনপি নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনে শরীক সকল দল চায় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। এ নিয়ে টালবাহানার কোনো সুযোগ নেই।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ।

রেদোয়ান আহমেদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে। আমরা অন্য কোনো কথা শুনতে চাই না, জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ ছিল দেশের বিশৃঙ্খল অরাজক পরিস্থিতিতে থামিয়ে যত দ্রুত সম্ভব জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু এই সরকার সেই পথে না হেটে ক্ষমতায় থাকার রাস্তা পাকাপোক্ত করার চেষ্টায় ব্যস্ত।

তিনি আরও বলেন, ৯ মাসে সরকার কী সংস্কার করেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের ৬৬৬ কোটি টাকা সুদ মওকুফ। ৪ হাজার কোটি টাকা গ্রামীণ ফোনের মওকুফ। স্টারলিংকে গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ ফোনের অংশীদার। এটিকে কী আমরা সংস্কার বলব।

রেদোয়ান আহমেদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছেন। ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত করতে এর বিকল্প নেই। এই ৩১ দফার মধ্যেই রয়েছে রাষ্ট্র মেরামতের যাবতীয় উপাদান। ৩১ দফা শুধু বিএনপির নয়, এটা বিগত স্বৈরাচার আমলে রাজপথে থাকা সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের। ৩১ দফা এই সরকার বাস্তবায়ন করলে আর কোনো সংস্কারের প্রয়োজন হবে না।

এলডিপির মহাসচিব জোর দিয়ে বলেন, সাধারণ মানুষের দাবি এখন একটাই। সেটি হচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন। এত লড়াই-সংগ্রাম, মামলা-হামলা ও গুম-খুন সব কিন্তু নির্বাচনের জন্যই। নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আর কোনো টালবাহানা চলবে না। ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে। এটাই শেষ কথা।

আরআর/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
খুলনা ত্যাগ করে ফরিদপুরের উদ্দেশে এনসিপি নেতারা Jul 17, 2025
img
তারেক রহমান-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু Jul 17, 2025
img
লন্ডনের দোকানে অপমান, ১০টা টাই কিনে জবাব দিলেন অমিতাভ বচ্চন Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জের ঘটনা গোয়েন্দা ব্যর্থতা : জাহেদ উর রহমান Jul 17, 2025
img
গাজা নিয়ে ‘সুখবর’ আছে : ট্রাম্প Jul 17, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৯৪ ফিলিস্তিনি Jul 17, 2025
img
এই সংঘাতের জন্য এনসিপি প্রস্তুত ছিল না : মোস্তফা ফিরোজ Jul 17, 2025
img
বগুড়ায় ঘরে ঢুকে ২ নারীকে হত্যা, আশঙ্কাজনক অবস্থা আরেকজনের Jul 17, 2025
img
পুলিশের বিশেষ অভিযানে ঢাকায় ৪৪ চাঁদাবাজ গ্রেফতার Jul 17, 2025
img
বিবেক বিবর্জিত কথা বলে তারেক রহমানের ইমেজকে নষ্ট করা যাবে না : আবুল খায়ের ভূঁইয়া Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জে চলছে ২২ ঘণ্টার কারফিউ, পরিস্থিতি থমথমে Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জের সব প্রশাসনকে বাধ্যতামূলক অবসর নিতে হবে : জামায়াত নেতা হাফিজ Jul 17, 2025
img
আলাস্কায় ৭.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি Jul 17, 2025
img
ঢাকায় বৃষ্টির আভাস, মেঘলা থাকবে আকাশ Jul 17, 2025
img
গ্রিসের মাইগ্রেশন মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ Jul 17, 2025
img
চলতি বছরে ডিএসইতে প্রথমবার লেনদেনের পরিমাণ ছাড়ালো ৭০০ কোটি টাকা Jul 17, 2025
img
রাজনীতিতে শিষ্টাচার শুধু বিএনপির মধ্যেই আছে : আমিনুল হক Jul 17, 2025
img
যুবদল নেতার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেন বিএনপি নেতা Jul 17, 2025
img
বিপিএমসিএ’র প্রথম নির্বাচিত সভাপতি ডা. শেখ মহিউদ্দীন Jul 17, 2025
img
ক্যাটরিনাকে হেয় করতে ভিডিওটি প্রকাশ করিনি : জেরিন খান Jul 17, 2025