বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতির নাম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
তার হাত ধরেই মাত্র চার বছরেরও কম সময়ে স্বাধীনতা পরবর্তী বিপর্যস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনর্গঠন হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করতে স্বাধীনতা পদকসহ সব ধরনের পদক ও বিদেশে শ্রমবাজার চালু, গার্মেন্টস শিল্পের সূচনা হয়েছিল শহীদ জিয়ার হাত ধরেই। দেশ পুনর্গঠনে তার অবদান অপরিসীম।
শুক্রবার (৩০ মে) রাত ৯টায় ময়মনসিংহ জিয়া পরিষদ আয়োজিত ‘আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে শহীদ জিয়ার অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বন্দিদশা থেকে বের করে এনে শহীদ জিয়াউর রহমানকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তার সততা ও নিষ্ঠাবান নেতৃত্বেই একদলীয় বাকশালী শাসন ব্যবস্থা থেকে দেশে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
তিনিই বিপর্যস্ত বাংলাদেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে স্বনির্ভর বাংলাদেশে পরিণত করেছিলেন।
তাই অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াই হোক আজকের দিনে শহীদ জিয়ার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা নিবেদন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অডিটোরিয়ামে জেলা, মহানগর ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জিয়া পরিষদ আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আলী।
সভায় সংগঠনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ ইউসুফ লিটনের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব প্রফেসর ড. এমতাজ হোসেন, প্রফেসর ড. শাহজাহান, প্রফেসর ড. আব্দুল কদ্দুছ, প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. শামসুল আলম ভূইয়া, কৃষিবিদ একেএম জোনায়েদুন নূর টিটু প্রমুখ।
এছাড়াও আলোচনা সভায় ময়মনসিংহ জেলা, মহানগর ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জিয়া পরিষদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরএম